১১ মৌসুম, অসংখ্য স্মৃতি। ম্যাচের পর ম্যাচে গোলবারের নীচে দেয়াল হয়ে দাঁড়ানো। ক্লাবের অনেক উত্থান-পতনের স্বাক্ষী। আপাতত সেই সব কিছুর সমাপ্তি। লেস্টার সিটিকে বিদায় জানিয়ে ফরাসি ক্লাব নিসে নাম লেখালেন গোলকিপার ক্যাস্পার স্মাইকেল।
দুই ক্লাবই বুধবার নিশ্চিত করে দেয় স্মাইকেলের এই দল বদল।
নতুন ক্লাবে ৩৫ বছর বয়সী এই গোলকিপারের চুক্তির মেয়াদ কিংবা ট্রান্সফারের আর্থিক বিষয়াদি খোলাসা করা হয়নি। তবে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের খবর, স্রেফ ১০ লাখ পাউন্ড ট্রান্সফার ফি-তে তিন বছরের চুক্তিতে নিসে যোগ দিয়েছেন এই ডেনিশ গোলকিপার।
ডেনমার্কের কিংবদন্তি গোলকিপার পিটার স্মাইকেলের ছেলে ক্যাস্পার নিজেও আলাদা ছাপ রেখেছেন ফুটবলের জগতে। ম্যানচেস্টার সিটির যুব দল হয়ে ২০০৬ সালে এই ক্লাবের হয়েই শীর্ষ পর্যায়ে পা রাখেন তিনি। পরে বিভিন্ন ক্লাব হয়ে ২০১০ সালে নাম লেখান লিডস ইউনাইটেডে। পরের বছরই পাড়ি জমান লেস্টারে, তার ক্যারিয়ারের সোনালি সময়ের শুরু যখন থেকে।
ক্রমেই তিনি হয়ে ওঠেন দলের বড় ভরসা। লেস্টারের প্রিমিয়ার লিগে উঠে আসা ও ২০১৫-১৬ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে স্মরণীয় শিরোপা জয়ে তার ছিল বড় অবদান।
১১ মৌসুমে সব মিলিয়ে ৪৭৯ ম্যাচ খেলেছেন তিনি লেস্টারের হয়ে, ক্লাবের ইতিহাসে যা তৃতীয় সর্বোচ্চ।
স্মাইকেলের বিদায়ী বার্তায়ও ফুটে উঠল এই ক্লাবের প্রতি তার আবেগ ও ভালোবাসা।
“অবিশ্বাস্য ১১টি মৌসুম শেষে লেস্টার ছাড়ার কঠিন সিদ্ধান্তটি নিয়েছি আমি। আমার কাছে এটা স্রেফ একটি ক্লাবের চেয়েও বেশি কিছু। এটা এমন একটা জায়গা, যেখানে আমি আজীবনের কিছু বন্ধু পেয়েছি, অনেক স্মৃতির জন্ম হয়েছে। এটা ছিল যেন আমার বাড়ি।”
লেস্টারে নিজের স্মরণীয় কিছু মুহূর্তের ছবি টুইটারে পোস্ট করেছেন তিনি। যেখানে আছে ২০১৪ সালে লেস্টারের প্রিমিয়ার লিগে প্রমোশনের মুহূর্ত, দুই বছর পর লিগ জয়ের সময়টাও।
বাবার মতো ডেনমার্ক জাতীয় দলের গোলবারেও স্মাইকেল দীর্ঘদিনের ভরসা। ২০১৩ সালে অভিষেকের পর ডেনিশদের হয়ে এখনও পর্যন্ত খেলেছেন ৮০ ম্যাচ। গত ইউরোতে দলের সেমি-ফাইনালে ওঠার সাফল্যে তার ছিল উল্লেখযোগ্য অবদান।