গেল বছরের দারুণ পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখল কলম্বিয়া। স্পেনের সঙ্গে মুখোমুখি লড়াইয়ে আগে যা করতে পারেনি তারা, তাই করে দেখাল। সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে প্রথম জয়ের স্বাদ পেল লাতিন আমেরিকার দলটি।
লন্ডন স্টেডিয়ামে শুক্রবার প্রীতি ম্যাচে ১-০ গোলে জিতেছে কলম্বিয়া। একমাত্র গোলটি করেছেন দানিয়েল মুনোস।
আগামী জুন-জুলাইয়ে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে লড়বে স্পেন। একই সময়ে অনুষ্ঠেয় কোপা আমেরিকায় খেলবে কলম্বিয়া। মহাদেশ সেরার লড়াইয়ে নামার আগে শেষ পর্বের প্রস্তুতিতে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে এই জয় নিশ্চিতভাবেই কলম্বিয়ানদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে বহুগুনে।
২০১০ সালের বিশ্বকাপ জয়ীদের বিপক্ষে চতুর্থ দেখায় এসে, দ্বিতীয়ার্ধে উজ্জীবিত পারফরম্যান্সে প্রথম জয়ের স্বাদ পেল কলম্বিয়া। আগের তিন ম্যাচের দুটি হয়েছিল ড্র; ২০১১ সালের প্রীতি ম্যাচে ১-০ গোলে জিতেছিল স্পেন।
এদিন স্প্যানিশরা শুরু থেকে পজেশন রেখে খেললেও প্রতিপক্ষকে সেভাবে ভাবাতে পারছিল না। বাঁ দিক দিয়ে কয়েকটি আক্রমণ শাণানোর পর ১৯তম মিনিটে ভালো একটি সুযোগ তৈরি করে দলটি; কিন্তু সতীর্থের ক্রস ছয় গজ বক্সের মুখে পেয়ে হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি দানি ভিভিয়ান। বল ক্রসবারের একটু ওপর দিয়ে উড়ে যায়।
তিন মিনিট পর গোলের উদ্দেশ্যে প্রথম শট নেয় কলম্বিয়া। একটি ফ্রি কিকের পর বক্সে বল পেয়ে নিচু শট নেন মাতেও কাসিয়েরা, অবশ্য তা রুখতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি গোলরক্ষক দাভিদ রায়াকে।
প্রথমার্ধের সাদামাটা ফুটবলের পর ৪৯তম মিনিটে এ পর্যন্ত সেরা সুযোগটি পায় স্পেন। এমেরিক লাপোর্তের পাস বক্সে পেয়ে বাঁ পায়ের জোরাল শট নেন জেরার্দ মোরেনো, দারুণ নৈপুণ্যে কর্নারের বিনিময়ে জাল অক্ষত রাখেন গোলরক্ষক কামিলো ভার্গাস।
৫৭তম মিনিটে স্পেনের রক্ষণে ভীতি ছড়ান হামেস রদ্রিগেস। অনেক দূর থেকে অভিজ্ঞ এই মিডফিল্ডারের বুলেট গতির শট কোনোমতে এক হাত দিয়ে বাইরে পাঠান রায়ার বদলি নামা আলেক্স রেমিরো।
চার মিনিট পর আর দলকে বাঁচাতে পারেননি রেমিরো। বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণ শাণান লুইস দিয়াস, প্রতিপক্ষের দুইজনের বাধা এড়িয়ে লিভারপুল ফরোয়ার্ড দারুণ ক্রসে দূরের পোস্টে খুঁজে নেন মুনোসকে। আর অসাধারণ এক হাফ ভলিতে ব্যবধান গড়ে দেন ক্রিস্টাল প্যালেস ডিফেন্ডার।
গোল হজমের পর একসঙ্গে তিনটি পরিবর্তন আনেন স্পেন কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তে। বদলি নামেন দুই ফরোয়ার্ড আলভারো মোরাতা ও নিকো উইলিয়ামস এবং মিডফিল্ডার আলেক্স বায়েনা। মিনিট দশেক পর দারুণ ছন্দে থাকা বার্সেলোনার তরুণ উইঙ্গার লামিনে ইয়ামালকে নামান কোচ।
কিন্তু কেউই পারেননি দলকে কাঙ্ক্ষিত গোল এনে দিতে। হারের হতাশায় মাঠ ছাড়তে হয় ইউরোপের শক্তিশালী দলটিকে।
২০২২ বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব উৎরাতে ব্যর্থ হলেও গত ২৪ মাসে কলম্বিয়া ছুটছে দুর্দান্ত গতিতে। এই নিয়ে টানা ২০ ম্যাচ অপরাজিত রইল দলটি। সবশেষ হেরেছিল সেই ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে, আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ১-০ গোলে।