আর্জেন্টিনায় দি মারিয়া ও তার পরিবারকে হত্যার হুমকি

চিরকুটে বার্তা পাঠিয়ে আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডারকে রোজারিওতে ফিরতে নিষেধ করা হয়েছে।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 March 2024, 05:55 PM
Updated : 25 March 2024, 05:55 PM

আনহেল দি মারিয়া তার স্বদেশের ক্লাব রোজারিও সেন্ত্রালে ফিরতে পারেন, বেশ কিছুদিন ধরে এমন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। সেই রোজারিওতেই এবার আর্জেন্টিনার এই মিডফিল্ডার ও তার পরিবারকে হুমকি দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। চিরকুটে বার্তা পাঠিয়ে এই তারকাকে রোজারিওতে ফিরতে নিষেধ করা হয়েছে। 

২০০৫ সালে রোজারিও সেন্ত্রালের হয়ে পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু করেন দি মারিয়া। সেখান থেকেই তিনি পাড়ি জমান ইউরোপে। বেনফিকা থেকে রেয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, পিএসজি, ইউভেন্তুস হয়ে গত জুলাইয়ে ফের বেনফিকায় ফেরেন তিনি। পর্তুগিজ ক্লাবটির সঙ্গে ৩৬ বছর বয়সী তারকার চুক্তি আছে আগামী জুন পর্যন্ত। এরপর তিনি রোজারিও সেন্ত্রালে ফিরতে পারেন বলে গুঞ্জন আছে। 

দেশে গেলে দি মারিয়া যেখানে থাকেন, রোজারিওর সান্তা ফে প্রদেশের সেই বাড়ির দরজায় সোমবার ভোরে কালো প্লাস্টিকের একটি ব্যাগ ছুড়ে দেওয়া হয় গাড়ি থেকে। যেটির তদন্ত শুরু করেছে সান্তা ফে পুলিশ। 

আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই ব্যাগের ভেতর চিরকুটে লেখা ছিল, “আপনার ছেলে আনহেলকে বলুন, যেন রোজারিওতে আর ফিরে না আসে, নতুবা আমরা পরিবারের একজন সদস্যকে মেরে ফেলব। এমনকি (মাক্সিমিলিয়ানো) পুয়ারোও (সান্তা ফের গভর্নর) তোমাকে বাঁচাতে পারবে না।” 

রোজারিওতে মাদক কারবারিদের সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে গত সপ্তাহে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন দি মারিয়া। ইএসপিএনকে বলেছিলেন, বিষয়টি ভবিষ্যতে তার রোজারিও সেন্ত্রালে ফেরার ক্ষেত্রে প্রভাবিত করতে পারে। 

“আমার বাবা-মা এবং বোনেরা সেখানে আছে, যা ঘটছে তা আমাকে প্রভাবিত করে, আমাকে মর্মাহত করে।” 

বর্তমানে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে যুক্তরাষ্ট্র সফরে আছেন দি মারিয়া। চিরকুটে হুমকির ব্যাপারে এখনও কোনো মন্তব্য করেননি বিশ্বকাপ জয়ী এই ফুটবলার। 

আর্জেন্টিনার সব শহরের মধ্যে রোজারিওতে খুনের হার সবচেয়ে বেশি। সেখানে মৃত্যুর হুমকি সাধারণ ব্যাপার। গত বছর হুমকি দেওয়া হয়েছিল লিওনেল মেসিকেও। মোটরসাইকেলে আসা দুজন ব্যক্তি মেসির স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুস্সোর পরিবারের মালিকানাধীন একটি সুপারমার্কেটে এসে গুলি ছোড়ে এবং একটি চিরকুট রেখে যায় দোকানের দরজায়।