ম্যাচজুড়ে বল দখল ও আক্রমণে আধিপত্য করল জাপান। তবে গোল মুখে কার্যকর হতে পারল না তাদের ফরোয়ার্ডরা। আয়মেন হোসেনের জোড়া গোলে স্মরণীয় এক জয়ের আনন্দে মাতল ইরাক।
এই জয়ে এশিয়ান কাপের নকআউট পর্বের টিকেট নিশ্চিত হলেও উচ্ছ্বাসে ভেসে যাচ্ছেন না ইরাকের কোচ হেসুস কাসাস। তার ভাবনাজুড়ে কেবলই গ্রুপের শেষ ম্যাচ।
কাতারের আল রাইয়ানের এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে শুক্রবার র্যাঙ্কিংয়ে ১৭ নম্বরে থাকা জাপানকে ২-১ গোলে হারায় ৬৩ নম্বরের ইরাক।
জাপানের বিপক্ষে ১৩ ম্যাচে ইরাকের তৃতীয় জয় এটি। এর আগে সবশেষ জয়টি ছিল সেই ১৯৮২ সালের নভেম্বরে, এশিয়ান গেমসে ১-০ গোলে। তারপর দল দুটির ৯ সাক্ষাতের ৭টিতে জিতেছিল জাপান, ড্র হয় ২টি।
টানা ১১ ম্যাচ জিতে খেলতে নামা জাপানের বিপক্ষে ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই ইরাককে এগিয়ে নেন আয়মেন। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তিনি। দুটি গোলই করেন হেডে। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে পরাজয়ের ব্যবধানই শুধু কমাতে পারে জাপান।
২ ম্যাচে শতভাগ সাফল্যে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ‘ডি’ গ্রুপের শীর্ষে আছে ইরাক। গ্রুপের শেষ ম্যাচে আগামী বুধবার ভিয়েতনামের মুখোমুখি হবে তারা। কাসাসের মনোযোগ সেদিকেই। জাপানের বিপক্ষে জয়ে খেলোয়াড়দের নিয়ে গর্বের কথাও বললেন এই স্প্যানিয়ার্ড।
“আজ ইরাকি জনগণের জন্য দারুণ একটা দিন, কিন্তু আমাদের জন্য এটি স্রেফ একটি জয়। আমাদের ৬ পয়েন্ট আছে, কিন্তু খেলোয়াড়দের এখন অবশ্যই ভিয়েতনাম ম্যাচের কথা ভাবতে হবে এবং খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দরকার ।”
"খেলোয়াড়দের নিয়ে আমি খুবই গর্বিত। সকল ইরাকি খেলোয়াড়দের গর্বিত হওয়া উচিত...নিখুঁত ম্যাচ খেলা প্রায় অসম্ভব, কিন্তু আমরা যতটা নিখুঁত ম্যাচ চেয়েছিলাম, তার কাছাকাছিই ছিলাম।”
পুরো ম্যাচে ৭২ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে গোলের জন্য ১৫টি শট নেয় জাপান, তবে লক্ষ্যে রাখতে পারে কেবল ২টি। ইরাকের ৮ শটের ৩টি লক্ষ্যে ছিল, যার দুটিতেই মেলে গোল।