লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে চার ম্যাচ পর জয় পেল পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
Published : 07 Sep 2024, 09:04 AM
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে টানা চার ম্যাচে জয় শূন্য, কোপা আমেরিকার সবশেষ আসরে চার ম্যাচ জয় কেবল একটি। সঙ্গে কোয়ার্টার-ফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়ার বেদনা। আন্তর্জাতিক ফুটবলে কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাওয়া ব্রাজিলের জন্য স্বস্তি নিয়ে এলেন রদ্রিগো। তরুণ এই ফরোয়ার্ডের নৈপুণ্যে জয়ে ফিরল পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
বাংলাদেশ সময় শনিবার সকালে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে একুয়েডরকে ১-০ গোলে হারিয়েছে ব্রাজিল।
বল দখল, গোলের সুযোগ তৈরি ও লক্ষ্যে শটের বিবেচনায় এগিয়ে ব্রাজিল। তবে প্রথমার্ধের শেষ সময়ে একুয়েডরের মোইসেস কেইসেদোর শট ডিফেন্ডার গাব্রিয়েল মাগালিয়াইস গোললাইন থেকে ফিরিয়ে না দিতে পারলে খেলার চিত্রটা ভিন্ন হতে পারত।
ঘরের মাঠে তৃতীয় মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় ব্রাজিল। রদ্রিগোর ফ্রি কিকে পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি লুইস এইহিক। ক্রসবার ঘেঁষে বেরিয়ে যায় বল।
নয় মিনিট পর ডি বক্সের বাইরে থেকে রদ্রিগোর শট ফেরান একুয়েডর গোলরক্ষক হেরমান গালিনদেস।
৩০তম মিনিটে আর রেয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ডকে ঠেকাতে পারেননি তিনি। লুকাস পাকেতার কাছ থেকে বল পেয়ে চমৎকার ফিনিশিংয়ে জাল খুঁজে নেন রদ্রিগো।
ছয় মিনিট পর একটুর জন্য দ্বিগুণ হয়নি ব্যবধান। ডি বক্সের বাইরের থেকে ভিনিসিউস জুনিয়রের চিপ অল্পের জন্য নাগালে পাননি ছুটে যাওয়া রদ্রিগো। বলও বেরিয়ে যায় পোস্ট ঘেঁষে!
যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে সমতা প্রায় ফিরিয়েই ফেলেছিল একুয়েডর। ব্রাজিলের তিন খেলোয়াড়ের ঘের থেকে বল পায়ে বেরিয়ে যান কেভিন রদ্রিগেস। অনেকটা এগিয়ে গিয়ে ডি বক্সের মাথায় তিনি খুঁজে নেন কেইসেদোকে। চেলসি মিডফিল্ডারের প্রথম শট ফেরান ব্রাজিল গোলরক্ষক আলিসন। ফিরতি শট গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দেন গাব্রিয়েল মাগালিয়াইস।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে দারুণ জমে ওঠে ম্যাচ। তবে নিশ্চিত সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না কোনো দলই।
৬৫তম মিনিটে গতি ও পায়ের কারিকুরিতে ঝলক দেখান ভিনিসিউস। তবে তার শট সহজেই ঠেকান একুয়েডর গোলরক্ষক। আট মিনিট পর আবার সুযোগ পান রেয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড। গালিনদেসের চ্যালেঞ্জের মুখে এবার শট রাখতে পারেননি লক্ষ্যে।
ম্যাচের যোগ করা সময়ে বিপজ্জনক জায়গায় ফ্রি কিক পেয়েছিল একুয়েডর। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি তারা।
৭ ম্যাচে তৃতীয় এই জয়ে ব্রাজিলের পয়েন্ট হলো ১০। পয়েন্ট তালিকার চার নম্বরে উঠে এলো পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। সমান ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে ছয়ে নেমে গেল একুয়ডের।
১৮ পয়েন্ট নিয়ে চূড়ায় আছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা।