এএফসি অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবল প্রতিযোগিতার বাছাই পর্বে বাংলাদেশ দলের লক্ষ্য গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া।
Published : 03 Oct 2013, 08:37 PM
আগামী ৮ থেকে ১২ অক্টোবর ইরাকের এরবিল শহরে এই প্রতিযোগিতা হবে।
৬ অক্টোবর রওনা হবে ২১ সদস্যের বাংলাদেশ দল।
বাছাই পর্বের ‘সি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কুয়েত, পাকিস্তান ও স্বাগতিক ইরাক। ৮ অক্টোবর ইরাক, ১০ অক্টোবর কুয়েত এবং ১২ অক্টোবর পাকিস্তানের সঙ্গে লড়াই।
বৃহস্পতিবার এ উপলক্ষে বাফুফে ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ রেনে কোস্টার বলেন, “বেশ কয়েক জন মেধাবী ফুটবলার থাকায় এই দল নিয়ে আমি আশাবাদী। আমার বিশ্বাস, গ্রুপ সেরা হয়ে আমরা পরবর্তী পর্বে খেলবো।”
“এই প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের নিয়ে আমি গর্বিত। তাদের পারফরম্যান্স আমাকে মুগ্ধ করেছে। ভবিষ্যতে তারা জাতীয় দলে খেলে দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে।”
জাতীয় দলের মিডফিল্ডার সোহেল রানাকে না পাওয়ার হতাশা অবশ্য গোপন করেননি কোস্টার। এ প্রসঙ্গে জাতীয় দলের সহকারী কোচ বলেন, “চোটের কারণে সোহেল রানা ইরাকে যেতে পারছে না। এটা আমাদের জন্য হতাশাজনক। তার মানের মিডফিল্ডার আমাদের ভীষণ প্রয়োজন ছিল।”
প্রতিপক্ষ সম্পর্কে সমীহ জানিয়ে তিনি আরো বলেন, “ইরাক খুবই কঠিন প্রতিপক্ষ। কুয়েতও বেশ ভালো দল। তবু এই দুই দল এবং পাকিস্তানকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ব্যাপারে আমি আশাবাদী।”
উপদেষ্টা কোচ হিসেবে এই দলের সঙ্গে ইরাক যাচ্ছেন জাতীয় দলের প্রধান কোচ লোডভিক ডি ক্রুইফ। তিনি বলেন, “কিছু দিন ধরে আমি এই দলের সঙ্গে আছি। কাছ থেকে দেখার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, এই দলের খেলোয়াড়রা মানসিকভাবে শক্ত। আমার বিশ্বাস তারা ভালো করবে।”
অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক হেমন্ত ভিনসেন্ট বলেন, “আমাদের প্রস্তুতি ভালো, তাই আত্মবিশ্বাসেরও অভাব নেই। ইরাকে ভালো করার ব্যাপারে আমি আশাবাদী।”
জাতীয় দলের স্ট্রাইকার তকলিস আহমেদ এই দলের সহ-অধিনায়ক। তিনি বলেন, “আমার মনে হচ্ছে জাতীয় দলের চেয়ে এই দলের ভারসাম্য বেশি। আমাদের দলে কোনো চোট সমস্যা নেই। এটা আমাদের জন্য বাড়তি প্রেরণা।”
অনূর্ধ্ব-১৯ দল: হেমন্ত ভিনসেন্ট (অধিনায়ক), তকলিস আহমেদ (সহ-অধিনায়ক), আব্দুল মালেক, দিদারুল আলম, আতিকুর রহমান, সুজন হোসেন, হাদিসুর রহমান, মেজবাহউদ্দিন, নাজমুল ইসলাম, মঞ্জুর রহমান, মোহাম্মদ নাঈম, রাকিবুল ইসলাম, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, টুটুল হোসেন, আহসানুল হক, নুরুল নাইয়ুম, রুবেল মিয়া, জুয়েল রানা, ফয়সাল আহমেদ, মোহাম্মদ মিঠু ও মোহাম্মদ ইব্রাহিম।