সেন্টার কোর্টে বুধবার ৪ ঘণ্টা ২০ মিনিটের ম্যারাথন লড়াইয়ে ৩-৬, ৭-৫, ৩-৬, ৭-৫, ৭-৬ (১০-৪) গেমে জেতেন ৩৬ বছর বয়সী নাদাল।
২৪ বছর বয়সী ফ্রিটজ এই মৌসুমের শুরুতে ইন্ডিয়ান ওয়েলসের ফাইনালে হারিয়ে দেন নাদালকে। থেমে যায় স্প্যানিশ তারকার ২০ ম্যাচের জয়-যাত্রা। এবার উইম্বলডনে প্রথম সেটে একটা সময় ১-৩-এ পিছিয়ে ছিলেন ফ্রিটজ। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে জিতে নেন সেট।
দ্বিতীয় সেটের মাঝপথে চোটের কারণে কোর্ট ছেড়ে গিয়ে মেডিকেল টাইম-আউট নিতে হয় নাদালকে। এমনকি তার বাবা তাকে খেলা চালিয়ে না যাওয়ার অনুরোধও করেন।
কিন্তু এই প্রতিযোগিতার দুইবারের চ্যাম্পিয়ন নাদাল তার বাবার অনুরোধের প্রতি কোনো কর্ণপাত করেননি। দর্শকদের বিপুল করতালির মধ্যে ফিরে আসেন কোর্টে। দ্বিতীয় সেট জিতে সমতা টানেন ম্যাচে।
তৃতীয় সেট অবশ্য সহজেই জিতে নেন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্রিটজ। চতুর্থ সেটে এক পর্যায়ে ৫-৪-এ এগিয়ে যান তিনি। তবে ঘুরে দাঁড়িয়ে সেই সেট জিতে ম্যাচ শেষ সেটে নিয়ে যান নাদাল।
২০১৯ সালের পর এই প্রথম উইম্বলডনে খেলছেন নাদাল। পায়ের চোটে এবারের আসরে তার খেলা নিয়ে জেগেছিল শঙ্কা। এই চোট নিয়েই তিনি খেলেন এবারের ফরাসি ওপেনে। সেখানে প্রতিটি ম্যাচ খেলেন ব্যথানাশক ইনজেকশন নিয়ে।
এই বছরের অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ও ফরাসি ওপেন জিতে পুরুষ এককে সর্বোচ্চ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের রেকর্ডটা ২২-এ নিয়ে যান নাদাল। এখন তিনি ছুটছেন ক্যালেন্ডার গ্র্যান্ড স্ল্যামের দিকে।
উইম্বডনের ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে তিনি খেলবেন অস্ট্রেলিয়ার নিক কিরগিওসের বিপক্ষে।
শেষ আটের আরেক ম্যাচে চিলির ক্রিস্তিয়ান গারিনকে হারিয়ে প্রথমবার গ্র্যান্ড স্ল্যামের সেমি-ফাইনালে উঠেছেন কিরগিওস।
২৭ বছর বয়সী এই খেলোয়াড় ম্যাচ জেতেন ৬-৪, ৬-৩, ৭-৬ (৭-৫) গেমে। ২০০৫ সালের পর প্রথম কোনো অস্ট্রেলিয়ান পুরুষ খেলোয়াড় হিসেবে উইম্বলডনের শেষ চারে উঠলেন তিনি।