উদ্দ্বীপ্ত সাইফ স্পোর্টিংয়ে ধরাশায়ী আবাহনী

ঘড়ির কাঁটার ঘূর্ণনের সঙ্গে দেনিয়েল কলিনদ্রেস, দোরিয়েলতন গোমেস নাসিমেন্তোরা হতে থাকলেন বিবর্ণ। উদ্দ্বীপ্ত ফুটবলের পসরা মেলে ধরলেন জামাল ভূঁইয়া, এমফন উদোহ, সাজ্জাদ হোসেনরা। আবাহনী লিমিটেডকে ভুলে যাওয়া হারের স্বাদ দিল সাইফ স্পোর্টিং।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 July 2022, 12:25 PM
Updated : 3 July 2022, 12:25 PM

মুন্সিগঞ্জের শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেনেন্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে রোববার প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ৪-২ গোলে জিতেছে সাইফ স্পোর্টিং। প্রথম লেগে আবাহনীর কাছে ২-১ গোলে হারের মধুর প্রতিশোধও নিয়েছে আন্দ্রেয়াস ক্রুসিয়ানির দল।

চলতি লিগে ১১ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর হারের স্বাদ পেল আবাহনী। মারিও লেমোসের দলের লিগে এটি দ্বিতীয় হার। গত মার্চে চট্টগ্রাম আবাহনীর কাছে ৩-২ গোলে হেরেছিল তারা।

এই হারে শিরোপা লড়াই থেকে অনেকটা পিছিয়ে গেল আবাহনী। ১৮ ম্যাচে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে তারা। ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বসুন্ধরা কিংস।

আগের ম্যাচে স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘের কাছে হেরে আসা সাইফ স্পোর্টিং জয়ে ফিরল। ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলে তৃতীয় স্থানে আছে তারা।

আবাহনী ম্যাচটা শুরু করেছিল আক্রমণের বার্তা দিয়েই। প্রথম মিনিটে রাকিব হোসেনের ক্রসে কলিনদ্রেসের শট বাইরে জাল কাঁপায়। নবম মিনিটে কোস্টারিকার এই ফরোয়ার্ডের জোরাল শট ক্রসবারে লেগে ফেরে; ফিরতি শট লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি দোরিয়েলতনও। ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ডের শট আটকান গোলরক্ষক মিতুল হোসেন।

ধীরে ধীরে গুছিয়ে ওঠা সাইফ স্পোর্টিং চতুর্দশ মিনিটে পেয়ে যায় গোলের দেখা। আসরোরভ গফুরভের ক্রস গোলরক্ষক শহীদুল আলম সোহেল ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে পারেনি, ফিরতি বলে এমেকার পাস থেকে উদোহ প্লেসিং শটে লক্ষ্যভেদ করেন।

এগিয়ে যাওয়ার পর একের পর এক আক্রমণে আবাহনীর রক্ষণে কাঁপন ধরিয়ে দেয় সাইফ স্পোর্টিং। ষোড়শ মিনিটে মারাজ হোসেনের ক্রস মিলাদ শেখ সুলেমানি ক্লিয়ার করেন কোনোমতে, একটু পর রাহিম উদ্দিনের হেড অল্পের জন্য পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়।

২২তম মিনিটে আবাহনীর রাকিব হোসেনের জোরাল শট গ্লাভসের টোকায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে বের করে দেন মিতুল। সাত মিনিট পর এমফনের আড়াআড়ি ক্রসে সাইফ স্পোর্টিংয়ের এমেকার হেড অল্পের জন্য বাইরে যায়।

৩৪তম মিনিটে কলিনদ্রেসের কর্নারে বক্সের ভেতর থেকে দুর্দান্ত ওভারহেড কিকে সমতা ফেরান দোরিয়েলতন। জেগে ওঠার উপলক্ষ পায় আবাহনী। কিন্তু ফের তারা পিছিয়ে পড়ে ৪০তম মিনিটে। কর্নার ফেরাতে পোস্টে ছেড়ে বেরিয়ে লাফিয়ে উঠেছিলেন শহীদুল, কিন্তু নাগাল পাননি। ফাঁকা পোস্টে গোলমুখ থেকে সুযোগ কাজে লাগান সাজ্জাদ হোসেন।

দ্বিতীয়ার্ধে আবাহনীর মলিনতা কাটেনি। আরও উদ্দ্বীপ্ত ফুটবল খেলতে থাকে সাইফ স্পোর্টিং। ৬৫তম মিনিটে উদোহর কর্নারে হেডে কাছে পোস্ট দিয়ে জাল খুঁজে দেন রাহিম।

আবাহনীর ম্যাচে ফেরার আশা বলতে গেলে শেষ হয়ে যায় ৭১তম মিনিটে, এমেরি বাইসেঙ্গের পেনাল্টি গোলে। বক্সের ঠিক ভেতরে উদোহ ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পেয়েছিল সাইফ স্পোর্টিং। শহীদুলকে ছিটকে দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন বাইসেঙ্গে।

ম্যাচ জুড়েও বেশ কিছু সেভ করেন শহীদুল। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান একটু কমান কলিনদ্রেস। তা না হলে আবাহনীর হারের ব্যবধান আরও বড় হতে পারত।