কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার প্রথম প্রীতি ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে ৬-০ গোলে হারে মালয়েশিয়া।
ম্যাচের আগের দিন জোসেফ জানিয়েছিলেন, জুলাইয়ের এএফএফ কাপের আগে নিজেদের দুর্বলতা খতিয়ে দেখা মূল লক্ষ্যের একটি। হারের পর জানালেন রক্ষণ নিয়ে কাজ করতে হবে।
“মাত্র আট দিন আগে অনুশীলন শুরু করেছি। বাংলাদেশ দলের বেশ ভালো প্রস্তুতি দেখেছি। এখানে এসেছি আমার দলের মেয়েদের পরীক্ষা করতে, যেহেতু মাত্র ৮দিন আগে অনুশীলন শুরু করেছি সেহেতু আমি বেশি কিছু করতে পারব না। এএফএফ এর টুর্নামেন্টের জন্য এই দুটি ম্যাচ খেলতে এসেছি। আমার দলের অধিকাংশই প্রস্তুত নয়, তাই এই চার-পাঁচ দিনে তাদের ফিটনেস দেখছি। প্লেয়ারদের দেখছি তারা কোন অবস্থায় আছে।”
“আমি জানি বাংলাদেশ আগে থেকেই প্রস্তুত, খেলোয়াড়রা দ্রুত গতির। আজ আমার রক্ষণভাগ ‘টোটালি গন।’ অধিকাংশ খেলোয়াড় প্রথমবার এত বড় মাঠে এত দর্শকের সামনে খেলেছে তাই তারা ভীত ছিল কিছুটা। আশা করছি পরবর্তী ম্যাচে রিকভার করতে পারব।”
২০১৭ সালের দেখায় বাংলাদেশের বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতেছিল মালয়েশিয়া। এবার অসহায় আত্মসমর্পণই করল তারাই। জোসেফ তাই প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন গোলাম রব্বানী ছোটনের দলের।
“বাংলাদেশের প্রস্তুতি অনেক ভাল ছিল। এর আগে অনুর্ধ্ব-১৯ দলের খেলা দেখেছিলাম ভারতের বিপক্ষে। বাংলাদেশ দল খুব ভাল দল। ২০১৭ সালে আমরা তাদেরকে হারিয়েছিলাম, কিন্তু মাঝে পেরিয়ে গেছে ৫ বছর। এখন ভিন্ন অবস্থা তৈরি হয়েছে।”
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে ৬১ ধাপ এগিয়ে মালয়েশিয়া। দলটির এমন নাজুক পারফরম্যান্সে প্রশ্ন উঠেছে তারা দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে এসেছে কিনা। জ্যাকব জানালেন মূল দল নিয়ে আসার কথা।
“মাত্র আমরা প্রিমিয়ার লিগ শুরু করেছি, একাডেমি শুরু করেছি। ৪-৫ বছর পর অবস্থা বদলে যাবে। আজ যারা খেলেছে এদের অধিকাংশই আমার মূল দলের খেলোয়াড়। এই ফলাফলে আমি বিস্মিত। কারণ আমার কিছু প্লেয়ারদের ভিন্নভাবে পরীক্ষা করছি।”
কমলাপুরের টার্ফেই আগামী রোববার দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল। টার্ফ নিয়ে অবশ্য কোনো অভিযোগ করেননি মালয়েশিয়া কোচ।
“এই ধরনের ম্যাচে আরও ভালো করতে হবে। মাঠ অনেক শক্ত, আমি ভিন্ন মাঠে অনুশীলন করিয়েছি।”