গোলের হাহাকার সত্ত্বেও উন্নতির ছাপ দেখছেন কাবরেরা

দ্বিতীয় মিনিটেই গোলমুখে ঠিক পজিশনে না থাকায় সুযোগ হারিয়েছেন সুমন রেজা। ৪১তম মিনিটে এই ফরোয়ার্ডের শট প্রতিহত হয় ক্রসবারে। বদলি ফরোয়ার্ড নাবীব নেওয়াজ জীবনও পাননি জালের দেখা। তাতে ম্যাচ জুড়ে আধিপত্য করেও জয়ের আনন্দে ভাসতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে কোচ হাভিয়ের কাবরেরা ফরোয়ার্ডদের প্রচেষ্টা ও নিবেদনে খুশি। দলের পারফরম্যান্সেও দেখছেন উন্নতির ছাপ।

ক্রীড়া প্রতিবেদকসিলেট থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 March 2022, 02:48 PM
Updated : 29 March 2022, 02:48 PM

সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করে বাংলাদেশ। নতুন বছরে এখনও জয়ের দেখা পায়নি দল। আগের প্রীতি ম্যাচে মালদ্বীপ থেকে ফিরে ২-০ গোলের হার নিয়ে।

বাড়ির উঠানে প্রতিপক্ষ ছিল ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের মাত্র দুই ধাপ এগিয়ে মঙ্গোলিয়া। দুই দলের সবশেষ দেখাও হয়েছিল ২০০১ সালে, বিশ্বকাপ বাছাইয়ে। সমমানের দল হওয়ায় স্বাগতিকদের চাওয়া ছিল জয়। সেটা মেলেনি ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায়। তবে ম্যাচ শেষের প্রতিক্রিয়ায় কাবরেরা তৃপ্তির ঢেকুরই তুললেন।

“আমি মনে করি, ম্যাচের ফল নিয়ে আমাদের খুশি হওয়া উচিত এবং খেলোয়াড়দের নিয়ে গর্ব করা উচিত। আমার মনে হয়, প্রথমার্ধে আমরা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে কিছুটা সময়ক্ষেপণ করেছিলাম। তবে আমরা যেটা অর্জন করতে চেয়েছিলাম…বল পায়ে রেখে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে খেলতে চেয়েছিলাম, সেটা অর্জন করতে পেরেছি।”

“দলের পারফম্যান্সে আমি সত্যিই খুশি, ফরোয়ার্ডদের খেলায়ও খুশি। আজ আমরা অনেকগুলো সুযোগ তৈরি করেছি এবং এটা আসলেই দলের দৃঢ় একটা দিক। কঠিন সত্য হচ্ছে, আমরা সেগুলো কাজে লাগাতে পারিনি, কিন্তু স্ট্রাইকাররা যেভাবে খেলেছে, তাতে আমি সন্তুষ্ট।”

গত জানুয়ারিতে বাংলাদেশের হাল ধরেছিলেন কাবরেরা। তবে প্রিমিয়ার লিগসহ ঘরোয়া ফুটবলের অনান্য প্রতিযোগিতার কারণে দলের সঙ্গে অনুশীলনের সময় পাননি বললেই চলে। মাত্র চার দিনের প্রস্তুতি নিয়ে মালদ্বীপের বিপক্ষে নেমেছিলেন, মঙ্গোলিয়া ম্যাচের প্রস্তুতি নেন তিন দিনের মতো। এই অল্প সময়ে নিজের কৌশল সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পেরেছেন বলে দাবি এই স্প্যানিশ কোচের।

“ভিন্ন একটি ম্যাচ ছিল। মালদ্বীপের বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল একরকম, এখানে অন্যরকম। তবে খেলোয়াড়রা প্রমাণ করেছে তারা মানিয়ে নিতে শুরু করেছে। অবশ্যই জেতাই ছিল মূল লক্ষ্য, সেটা না পেলেও এ ম্যাচগুলো থেকে নেওয়ার মতো অনেক অনেক ইতিবাচক দিক আছে, যেগুলো সামনের পথচলায় কাজে লাগবে।”

“আমি মনে করি, আমরা অনেক উন্নতি করেছি। এই ছেলেরা খুবই ভালো পর্যায়ে আছে এবং এদের অনেকেই আমার কৌশলের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছে।”