ভারতের জামশেদপুরে টাটা একাডেমি মাঠে শুক্রবার ভারতের বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতেছে বাংলাদেশ। দুই দলের পয়েন্ট সমান ৯ করে হলেও রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতির এই আসরে শেষ পর্যন্ত গোল ব্যবধানে বাংলাদেশের (+৩) চেয়ে এগিয়ে থাকা ভারতই (+১১) পেয়েছে শিরোপার স্বাদ।
তিন দলের এ প্রতিযোগিতার প্রথম লেগে প্রথম লেগে স্বাগতিকদের কাছে ১-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। ‘অলিখিত ফাইনালে’ হয়ে ওঠা শেষ ম্যাচে শিরোপা জিততে হলে গোলাম রব্বানী ছোটনের দলের প্রয়োজন ছিল কমপক্ষে দুই গোলের ব্যবধানে জয়। সম্ভাবনা জাগিয়েও সেই সমীকরণ মেলাতে পারেনি দল।
এক হিসাবে বয়সভিত্তিক এই আসরের মুকুট হারাল বাংলাদেশ। গত বছর ডিসেম্বরে কমলাপুরে অনূর্ধ্ব-১৯ বছর বয়সীদের নিয়ে হওয়া প্রতিযোগিতায় ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়েই ট্রফি উৎসব করেছিল বাংলাদেশ।
শুরু থেকে আকলিমা-উন্নতি-রিপাদের শরীরী ভাষায় ফুটে ওঠে আক্রমণাত্মক ফুটবলের মনোভাব। নবম মিনিটে আকলিমার দূরপাল্লার শট আটকানে গোলরক্ষক।
২০তম মিনিটে লিন্ডা কমের দুর্বল হেড রুপনার গ্লাভসে জমে যায়। এর আগে অনিতার দূরপাল্লার শটও সহজে ফেরান তিনি। তিন মিনিট পর আকলিমার শট দূরের পোষ্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়।
বাংলাদেশের সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট হয় ৩০তম মিনিটে। বক্সে গোলরক্ষককে একা পেয়ে বাইরে মারেন উন্নতি খাতুন।
রক্ষণের ঢিলেমিতে ৩৯তম মিনিটে পিছিয়ে পড়তে বসেছিল বাংলাদেশ। লিন্ডা কমের শট রুপনাকে ফাঁকি দিয়ে পোস্টে লেগে ফিরে। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে শাহেদা আক্তার রিপার জোরাল শট বাইরের জাল কাঁপায়।
দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। ৫১তম মিনিটে উন্নতিকে তুলে নিয়ে হালিমা খাতুনকে নামান বাংলাদেশ কোচ। ৬৩তম মিনিটে আকলিমার শট এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে কর্নার হয়। এরপরই লিন্ডার শট আটকান রুপনা।
অবশেষে ৭৩তম মিনিটে গোলের উৎসবে মাতে দল। বক্সের উপর দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে জায়গা করে নিয়ে নিখুঁত কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন আকলিমা। ফিকে হয়ে যেতে বসা শিরোপা সম্ভাবনা জেগে ওঠে নতুন করে।
বাকিটা সময় ভারতের রক্ষণে চাপ ধরে রাখলেও ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে পারেনি বাংলাদেশ। তাই জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করলেও শিরোপা নিয়ে দেশে ফেরার আকাঙ্ক্ষা অপূর্ণই থেকে গেল ছোটনের দলের।