২০২১-২২ মৌসুমের লিগ শুরুতে হওয়ার কথা ছিল সাত ভেন্যুতে। বাফুফের সিদ্ধান্ত বদলের ধারাবাহিকতায় তা ঠেকেছে দুটিতে। টঙ্গীর শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টার ও মুন্সিগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে: মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে লিগ আয়োজন করছে দেশের ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থাটি।
মুন্সিগঞ্জে সোমবার বসুন্ধরা কিংস ও উত্তর বারিধারার ম্যাচ দেখতে গিয়ে ভেন্যু নিয়ে গণমাধ্যমে নিজের মনোভাব জানান কাবরেরা। বাফুফের সবশেষ সিদ্ধান্তে বাদ পড়া কিংসের মাঠ বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনা নিয়েও কথা বলেন ৩৭ বছর বয়সী এ কোচ।
“অবশ্যই এই ভেন্যুগুলোর মাঠ আরও ভালো মানের হওয়া উচিত। তবে এটাও ঠিক যে অনেক ম্যাচ এই দুটি ভেন্যুতে হবে; যে কারণে (অতিরিক্ত ম্যাচ খেলায় মান হারানো) এ রকম মাঠে আকর্ষনীয় ফুটবল খেলা কঠিন। আসলে এ সব মাঠ আরও উন্নত হওয়া দরকার। তবে আসলে আমি কোনো মাঠকেই আলাদা করতে পারছি না। কারণ আমার পক্ষে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম দেখা সম্ভব হয়নি, কারণ সেখানে সংস্কার কাজ চলছে।”
“এ ভেন্যুটা (বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনা) দেখে খুব ভালো লেগেছ। ভালো স্টেডিয়াম এবং মাঠে উন্নতমানের ঘাস থাকাটা খুব ইতিবাচক। এমন আরও কিছু মাঠ হলে অবশ্যই ভালো হবে। কারণ মাঠটা খুব ভালো। এ ধরনের মাঠ ফুটবল উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।”
লিগের প্রথম রাউন্ডের খেলা শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় রাউন্ড চলছে। এরই মধ্যে সব দলের খেলোয়াড়দের মাঠে বসে দেখেছেন কাবরেরা। নির্দিষ্ট কারো নাম উল্লেখ না করে জানালেন অনেককে মনে ধরার কথা। মার্চের ফিফা উইন্ডো নিয়ে পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন বলেও জানালেন তিনি।
“আসলে আমি সব দলের খেলাই পরখ করছি। (স্থানীয়) খেলোয়াড়দের মধ্যে যা পেয়েছি, তাতে আমি খুশি। আমাদের অনেক ভালো ফুটবলার আছে, যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ম্যাচ খেলতে পারে।”
“আমাদের এগোতে হবে ধাপে ধাপে। সামনের ফিফা উইন্ডোকে লক্ষ্য ঠিক করেছি। মার্চের ম্যাচগুলোর জন্য একটা ভালো সময় চাইব ট্রেনিং ক্যাম্পের জন্য। সেটি হতে পারে এক সপ্তাহের। আমাকে আসলে দলগুলোর এবং খেলোয়াড়দের মানসিকতা সম্পর্কে ধারণা নিয়েই এগোতে হবে।”