প্যালেসকে হারিয়ে ব্যবধান কমাল লিভারপুল

প্রথমার্ধে একচেটিয়া আধিপত্য করে দুই গোলে এগিয়ে যাওয়া লিভারপুল বিরতির পর কিছুটা খেই হারাল। সেই সুযোগে ব্যবধান কমাল ক্রিস্টাল প্যালেস, কিন্তু ফেভারিটদের আটকাতে পারল না তারা। লিগ টেবিলে ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে ব্যবধান কমাল ইয়ুর্গেন ক্লপের দল।

প্রতিপক্ষের মাঠে রোববার প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটি ৩-১ গোলে জিতেছে লিভারপুল। ভার্জিল ফন ডাইক ও অ্যালেক্স অক্সলেইড-চেম্বারলেইনের গোলে তারা এগিয়ে যাওয়ার পর ব্যবধান কমান ওদসোনে এদুয়া। শেষ দিকে সফরকারীদের তৃতীয় গোলটি করেন ফাবিনিয়ো।

ম্যাচে ৫৭ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে গোলের জন্য লিভারপুল মোট ১৫টি শট নেয়, যার সাতটি ছিল লক্ষ্যে। আর প্যালেসের আট শটের পাঁচটি লক্ষ্যে ছিল।

একের পর এক আক্রমণে শুরু থেকে স্বাগতিকদের চেপে ধরে লিভারপুল। গোলের দেখাও মেলে দ্রুত। অষ্টম মিনিটে দুই ডিফেন্ডারের নৈপুণ্যে এগিয়ে যায় তারা। অ্যান্ড্রু রবার্টসনের কর্নারে কাছ থেকে লাফিয়ে হেডে বল জালে পাঠান ফন ডাইক।

২২তম মিনিটে সমতায় ফেরার সুযোগ আসে প্যালেসের সামনে। কাছ থেকে জ্যাঁ-ফিলিপ মাতেতার শট দারুণ দক্ষতায় ফেরান লিভারপুল গোলরক্ষক আলিসন।

৩২তম মিনিটে পরের গোলেও অবদান রাখেন রবার্টসন। বাঁ দিক থেকে তার ক্রসে ডি-বক্সে লাফিয়ে বলের নাগাল পাননি রবের্তো ফিরমিনো। পেছনেই থাকা চেম্বারলেইন বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বাঁ পায়ের শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন।

ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে জেতা আগের ম্যাচেও দলের দ্বিতীয় গোলটি করেছিলেন এই ইংলিশ মিডফিল্ডার।

দ্বিতীয়ার্ধের দশম মিনিটে একটি গোল শোধ করে প্যালেস। প্রতিপক্ষকে আটকাতে কিছুটা এগিয়ে যান আলিসন। সতীর্থের পাসে কাছ থেকে ফাঁকা জালে বল পাঠান এদুয়া।

এই অর্ধে পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না লিভারপুল। বরং ৮৪তম মিনিটে আরেকটি গোল খেতে বসেছিল তারা। মাইকেল ওলিসের চিপ শট কোনোমতে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন আলিসন।

নির্ধারিত সময়ের এক মিনিট বাকি থাকতে স্পট কিকে জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেন ফাবিনিয়ো। দিয়োগো জটাকে প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক ডি-বক্সে ফেলে দিলে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টিটি দিয়েছিলেন রেফারি।

২২ ম্যাচে ১৪ জয় ও ৬ ড্রয়ে ৪৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে লিভারপুল। আগের দিন সাউথ্যাম্পটনের সঙ্গে ড্র করা ম্যানচেস্টার সিটি ২৩ ম্যাচে ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে।