নিজেদের ওয়েবসাইটে শুক্রবার এক বিবৃতিতে এরিকসেনের সঙ্গে চুক্তি ভাঙার বিষয়টি জানায় ইতালিয়ান ক্লাবটি।
গত জুনে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে কোপেনহেগেনে ফিনল্যান্ডের বিপক্ষে ডেনমার্কের ম্যাচের প্রথমার্ধে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাঠে লুটিয়ে পড়েন এরিকসেন। মাঠেই তাকে দেওয়া হয় সিপিআর। দীর্ঘক্ষণ চিকিৎসা দেওয়ার পর তাকে নেওয়া হয় হাসপাতালে।
এরপর তার শরীরে ইমপ্ল্যানটেবল কার্ডিওভার্টার ডেফিব্রিলেটর (আইসিডি) বসানো হয়। এটি একটি ছোট ইলেকট্রনিক ডিভাইস, পেসমেকারের মতো যা কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট প্রতিরোধ করে হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক রাখার কাজ করে।
পরবর্তীতে সুস্থ হয়ে শুরু করেন টুকটাক অনুশীলন। গত অগাস্টে ক্লাব ইন্টারেও ফেরেন তিনি। কিন্তু তখনই ইতালিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করে বলা হয়, শরীরে ইলেকট্রনিক ডিভাইস থাকায় ইতালিতে খেলতে পারবেন না এরিকসেন।
মূলত এ কারণেই পারস্পরিক সমঝোতায় চুক্তি ভেঙে ২৯ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডারকে ছেড়ে দিল ইন্টার।
“আমাদের লিগ শিরোপা জয়ের অভিযানে ক্রিস্তিয়ান ছিল গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র-এই দলীয় সাফল্যে এরিকসেন তার ফুটবল দর্শন, জ্ঞান, পাসিং, অ্যাসিস্ট, গোল এবং খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু গোল দিয়ে ভূমিকা রেখেছে।”
গত মে মাসে ক্রোতেনের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে দলের জয়ে প্রথম গোলটি করেন এরিকসেন। ওই ম্যাচ জয়ের মধ্য দিয়েই শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যায় ইন্টারের। আসরের শেষ রাউন্ডে সান সিরোয় উদিনেজের বিপক্ষে ফ্রি কিক থেকেও দারুণ একটি গোল করেছিলেন তিনি।
ক্লাবের বিবৃতিতে আলাদা করে উঠে এসেছে এরিকসেনের ওই দুটি গোলের কথাও।
“ইন্টারের জার্সি পরে সেটাই আমাদের মাঝে ক্রিস্তিয়ানের আনন্দময় স্মৃতি। কারণ কখনও কখনও জীবন অপ্রত্যাশিত এক বাঁক নেয় এবং একজনকে এমন এক পথে ঠেলে দেয় যা সে কখনও কল্পনাও করেনি।”
এই মাসের শুরুতে এরিকসেন তার শৈশবের ক্লাব ডেনমার্কের ওডেনসে বোল্ডক্লাবে অনুশীলন মাঠে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।