নেইমার-কিলিয়ান এমবাপে-আনহেল দি মারিয়াদের উপস্থিতিতে আগে থেকেই দারুণ শক্তিশালী পিএসজি। গ্রীষ্মের দলবদলে মেসির সঙ্গে সের্হিও রামোস, জানলুইজি দোন্নারুম্মা, আশরাফ হাকিমিদের ভিড়িয়ে শক্তি আরও বাড়িয়ে নিয়েছে প্যারিসের ক্লাবটি।
তাদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের লক্ষ্য পূরণে এবার শেষ ষোলোয় পার হতে হবে বড় বাধা। কোয়ার্টার-ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে পিএসজির প্রতিপক্ষ ইউরোপের সফলতম দল রিয়াল মাদ্রিদ। ১৩ বারের চ্যাম্পিয়নদের পেলেও লক্ষ্যটা বদলাচ্ছে না মেসির, দলকে এনে দিতে চান অধরা শিরোপা।
গত সোমবার সুইজারল্যান্ডের নিয়নে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর ড্রয়ে পিএসজি প্রতিপক্ষ হিসেবে পায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে। ফুটবল বিশ্বে মেতে ওঠে আরেকবার মেসি ও ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর ধ্রুপদী দ্বৈরথ দেখার রোমাঞ্চে। কিন্তু টেকনিক্যাল সমস্যা হওয়ায় সেই ড্র বাতিল হয়ে যায়। পরে আবার ড্র হলে সেখানে প্যারিসের দলটি প্রতিপক্ষ হিসেবে পায় স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়ালকে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ২০১৯-২০ মৌসুমে ইউরোপ সেরার মঞ্চে শিরোপার সবচেয়ে কাছাকাছি গিয়েছিল পিএসজি। সেবার ফাইনালে তাদের হারিয়ে শেষ হাসি হাসে বায়ার্ন মিউনিখ। গত মৌসুমে নেইমার-এমবাপেরা বিদায় নেন শেষ চার থেকে।
গত সোমবার দুবাই এক্সপো ২০২০ এ যোগ দেন মেসি। সেখানে কথা প্রসঙ্গে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড বলেন, পিএসজিকে ইউরোপ সেরা করার লক্ষ্য নিয়েই এগিয়ে যাবেন তারা।
“পিএসজির লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা, এটাই সবার লক্ষ্য। আমাদের দলটি আগে (শিরোপা জেতার) খুব কাছাকাছি গিয়েছিল। এটা সব দলের জন্যই কাম্য এক প্রতিযোগিতা। আমরা এই শিরোপা জেতার চেষ্টা করব।”
বার্সেলোনার সঙ্গে নতুন চুক্তি ভেস্তে যাওয়ায় ২১ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করে গত আগস্টে কাতালান ক্লাবটি ছেড়ে পিএসজিতে যোগ দেন মেসি। ক্যারিয়ারের এই পর্যায়ে এসে ভিন্ন একটি লিগে খেলাটা চ্যালেঞ্জিং ছিল বলেই জানালেন রেকর্ড সাতবারের বর্ষসেরা ফুটবলার।
“একই ক্লাবে লম্বা সময় থাকার পর এটা অনেক বড় পরিবর্তন ছিল, তাই এটি সহজ ছিল না। তবে দর্শনীয় শহরটিতে বিশ্বের সেরা দলগুলোর একটিতে আমরা ভালো খেলছি এবং সবাই ভালো করছি।”