দেশের দ্রুততম মানব ইসমাইল হোসেনকে বাদ দিয়ে যাকে টোকিও অলিম্পিকসে বেছে নিয়েছিল বাংলাদেশ অ্যাথেলেটিক্স ফেডারেশন, সেই জহির রায়হানকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে!
Published : 10 Dec 2021, 01:20 AM
বৃহস্পতিবার রাতে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রহিম মন্টুর নামে স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় অ্যাথলেট জহির রায়হান গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে আছে। তার বিরুদ্ধে বিনা অনুমতিতে জাতীয় প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগও করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, জহির রায়হানের নৈতিক স্খলন, শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং তার বিরুদ্ধে পূর্বের বেশ কিছু অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরি সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে জাতীয় অ্যাথলেটিক্স প্রশিক্ষণ ক্যাম্প থেকে বহিষ্কারসহ অনির্দিষ্টকালের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সকল ক্রীড়া কার্যক্রমে অংশগ্রহন করতে পারবেন না এই দৌড়বিদ।
বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ২০১৯ সালে এক নারী অ্যাথলেট জহিরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন। গাজীপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে করা অভিযোগে বাদী বলেন, ২০১৭ সালে সাভার বিকেএসপিতে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস দলের প্রশিক্ষণ চলাকালে জহিরের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয় এবং তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
২০১৯ সালের ৩ মে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে জহির তাকে ধর্ষণ করেন বলে বাদী অভিযোগ করেন। সেই মামলায় বুধবার গাজীপুরের নারী ও শিশুবিষয়ক ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে জহির আত্মসমর্পণ করলে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে হাজতে প্রেরণ করা হয়।
এর বাইরেও জহিরের বিরুদ্ধে আরও এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ওই নারী গত ২ সেপ্টেম্বর জহিরের কর্মস্থলে লিখিত অভিযোগে বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচয় ও পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দুবার তাকে ধর্ষণ করেছেন জহির।