পিএসজি ছাড়ার ভাবনায় ইউরোতে ‘চাপে ছিলেন’ এমবাপে

ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের গত আসরে ফ্রান্সের ব্যর্থতার অন্যতম একটা কারণ ছিল টুর্নামেন্ট জুড়ে কিলিয়ান এমবাপের নিজেকে খুঁজে ফেরা। ওই বিবর্ণ পারফরম্যান্সের পেছনে যে তার ‘পিএসজি ছাড়ার ভাবনা’ প্রভাব ফেলেছিল, ফরাসি ফরোয়ার্ডের কথায়ই তার ইঙ্গিত মিলছে।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Dec 2021, 12:10 PM
Updated : 6 Dec 2021, 12:25 PM

গত গ্রীষ্মের দলবদলের পুরোটা জুড়েই পিএসজি থেকে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনায় ছিলেন এমবাপে। এর মাঝেই গত জুন-জুলাইয়ে ফ্রান্সের হয়ে খেলেন ইউরো। শেষ ষোলোয় সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে টাইব্রেকারে শেষ শট নিয়ে মিস করেছিলেন এমবাপে, ছিটকে গিয়েছিল ফ্রান্স। এতে কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি।

এমবাপে অনেক আগে থেকেই বলে আসছেন, ক্যারিয়ারে একসময় অবশ্যই রিয়ালের হয়ে খেলতে চান তিনি। স্প্যানিশ ক্লাবটিও তাকে পেতে মরিয়া। গত দলবদলের শেষ দিকেই তাকে কিনতে দলটি বড় অঙ্কের কয়েকটি প্রস্তাব দিলেও গ্রহণ করেনি পিএসজি।

স্পেন ও ফ্রান্সের কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে গত অগাস্টে বলা হয়েছিল, ২২ বছর বয়সী এমবাপেকে পেতে প্রথম দফায় ১৬ কোটি এবং পরে ১৮ কোটি ইউরোর প্রস্তাব দেয় রিয়াল। দলবদলের শেষ দিনে ২০ কোটি ইউরো দিতেও নাকি রাজি ছিল তারা। কিন্তু পরিবর্তন আনতে পারেনি পিএসজির ভাবনায়।

এরপর বিভিন্ন সময়ে এই বিষয়ে কথা বলেছেন এমবাপে। সরাসরিই জানিয়েছেন, গ্রীষ্মে তিনি পিএসজি ছাড়তে চেয়েছিলেন। আগামী জুনে ফরাসি ক্লাবটির সঙ্গে তার চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে। বেশ কয়েকবার চুক্তি নবায়নের প্রস্তাব দেওয়া হলেও সেটা তিনি গ্রহণ করেননি। গুঞ্জন রয়েছে, আগামী গ্রীষ্মে ফ্রি ট্রান্সফার হিসেবে রিয়ালে যোগ দেবেন বলেই চুক্তি নবায়ন করছেন না তিনি।

রোববার প্রকাশিত অ্যামাজন ডকুমেন্টারিতে সাবেক ফরাসি ফরোয়ার্ড থিয়েরি অঁরির সঙ্গে আলাপচারিতায় পিএসজি তারকা কথা বলেছেন তার ক্লাব ছাড়তে চাওয়ার প্রসঙ্গে। ফ্রান্সের হয়ে ২০১৮ বিশ্বকাপ জেতা এমবাপে বলেন, পুরো বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা থাকায় ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ চলাকালীন তিনি বেশ চাপে ছিলেন।

“ইউরো (ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ) চলাকালীন আমি নিজেকে অনেক প্রশ্ন করেছিলাম, আমি আমার বাবা-মায়ের সঙ্গেও অনেক আলোচনা করেছিলাম। নিজের কাছে পরিষ্কার ছিলাম যে আমি (পিএসজি) ছাড়তে চাই।”

“আমার বাবা-মা আমাকে শুধু মাঠে মনোযোগ দিতে বলেছিলেন। হয়ত আমি অন্য বিষয়গুলো খুব বেশি ভাবছিলাম।”