বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সংস্কার কাজ চললেও গত তিন দিন অনুশীলন হয়েছে এ মাঠেই। একদিন বিশ্রামের পর ফের অনুশীলনে ফিরেছে জাতীয় ফুটবল দল। তবে এবার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের মাঠের ভেতর খোঁড়াখুঁড়ি শুরু হওয়ায় চতুর্থ দিনের অনুশীলন হয়েছে কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামের টার্ফে।
পারিবারিক ব্যস্ততা শেষে অধিনায়ক জামাল ভূইয়া ডেনমার্ক থেকে ফিরেছেন ঢাকায়। তবে ক্যাম্পে যোগ দিলেও দলের সঙ্গে অনুশীলন শুরু করেননি এখনও। সময় কাটিয়েছেন হোটেলে।
শ্রীলঙ্কার টুর্নামেন্টের আগে নতুন শিষ্যদের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য খুব কম সময় পাচ্ছেন লেমোস। একই অবস্থা খেলোয়াড়দেরও। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে অস্কার ব্রুসনের অধীনে খেলার পর এবার লেমোসের সঙ্গে কাজ করতে হচ্ছে তাদের। তবে এই অল্প সময়ে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করার কথা জানালেন গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা।
“ঘন ঘন কোচ বদল হলে নতুন কোচের চিন্তা-দর্শন নিয়ে কাজ করতে হয়। আমরা খেলোয়াড়রা তাদের সাথে দ্রুত মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করি। কোচ বদলের কারণে যে চিন্তাটা আসে যে নেতিবাচক কিছু হবে, সেটা যেন না হয় এবং ইতিবাচক কিছু হয়, সে জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করি।”
এ দিন অনুশীলন করেছেন ১৬ জন। ক্যাম্পে ডাকা ২৪ জনের সবাইকে একসঙ্গে পেলে প্রস্তুতি আরও ভালো হতো বলে মনে করেন রানা।
“যখন ফুল স্কোয়াড থাকে তখন কোচের পুরোপুরিভাবে তার ট্যাকটিক্যাল বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করার সুযোগ থাকে। যেহেতু আমাদের এখানে ওই সুযোগ নাই, যেহেতু আমরা ১৬ জন, তাই বড় মাঠে ওভাবে খেলার সুযোগ কম। তাই এখন কোচের সাথে এই ছোট মাঠে ও হোটেলে ট্যাকটিক্যাল ব্যাপারগুলো নিয়ে কাজ করছি। শ্রীলঙ্কা যাওয়ার পর অনুর্ধ্ব-২৩ দলের যারা আছে ওরা যোগ দিলে হয়তো সেখানে ভালো ভাবে আরও কাজ করা যাবে।”
শ্রীলঙ্কার প্রাইম মিনিস্টার মাহিন্দা রাজাপাকসে ট্রফিতে আগামী ৮ নভেম্বর সিশেলসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে যাত্রা শুরু করবে দল। ১১ নভেম্বর মুখোমুখি হবে মালদ্বীপের। তিন দিন পর প্রতিপক্ষ স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা।