প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটি মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে হান্টের মৃত্যুর খবর জানায়। তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
লিভারপুলের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা হান্ট ক্লাবটির সমর্থকদের কাছে পরিচিত ছিলেন ‘স্যার রজার’ নামে। অ্যানফিল্ডের দলটির হয়ে প্রায় এক যুগের সাফল্যমণ্ডিত ক্যারিয়ারে ৪৯২ ম্যাচ খেলে তিনি করেন ২৮৫ গোল।
২০ বছর বয়সে ১৯৫৯ সালে অ্যামেচার ক্লাব স্টকটন হিথ থেকে লিভারপুলে যোগ দেন হান্ট। পরের বছর অ্যানফিল্ডে স্কানথর্পের বিপক্ষে অভিষেক রাঙান গোল করে। তার দল ম্যাচটি জেতে ২-০ গোলে।
১৯৬২ সালে ইংল্যান্ডের হয়ে যখন আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক হয় হান্টের, লিভারপুল তখন ইংলিশ ফুটবলের দ্বিতীয় বিভাগে। জাতীয় দলের হয়ে ৩৪ ম্যাচে তিনি গোল করেন ১৮টি।
১৯৬৬ বিশ্বকাপ জয়ের পথে তিনি খেলেন দলের প্রতিটা ম্যাচে। গোল করেন তিনটি। তার সঙ্গে গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলোতে খেলেছিলেন কিছুদিন আগে ৮১ বছর বয়সে মারা যাওয়া গ্রিভস। এরপর গ্রিভস চোট পান।
কিংবদন্তি কোচ বিল শ্যাঙ্কলির কোচিংয়ে ১৯৬২ সালে ৪১ ম্যাচে ৪১ গোল করে লিভারপুলকে দ্বিতীয় বিভাগে চ্যাম্পিয়ন করে প্রথম বিভাগে তুলতে হান্টের ছিল বড় অবদান। এরপর দলটির হয়ে ১৯৬৪ ও ১৯৬৬ সালে প্রথম বিভাগের শিরোপা জেতেন তিনি। মাঝে ১৯৬৫ সালে জেতেন এফএ কাপ।
হান্টের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ জানান, সামনের দিনগুলিতে এই কিংবদন্তির প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন তারা।