গোল করার দায়িত্ব সবাইকে নিতে হবে: ব্রুসন

বাংলাদেশ জাতীয় দলের জন্য গোল করাটা সবসময়ই বড় এক দুর্ভাবনার জায়গা। অস্কার ব্রুসনের দাবি, বর্তমান দলে ভালো মানের নাম্বার নাইন ও বক্স প্লেয়ারও আছে, কিন্তু তারা লিগে মূল আক্রমণভাগে সুযোগ পায় না বলে গোল করতে পারে না। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে গোলের জন্য তাই নির্দিষ্ট কারো উপর নির্ভর করতে চাইছেন না বাংলাদেশ দলের এই অন্তর্বর্তীকালীন কোচ। ফরোয়ার্ড থেকে শুরু করে ডিফেন্ডারদেরও দায়িত্বটি নেওয়ার তাগিদ দিলেন তিনি।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Sept 2021, 12:33 PM
Updated : 27 Sept 2021, 01:16 PM

মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে আগামী ১ অক্টোবর শুরু হবে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ত্রয়োদশ আসর। মঙ্গলবার মালদ্বীপের উদ্দেশে রওনা দেবে দল।

প্রতিযোগিতাটির গত চার আসরে গ্রুপ পর্ব থেকে বাংলাদেশের ছিটকে পড়ার কারণও ছিল ফরোয়ার্ডদের কাছ থেকে প্রত্যাশিত গোল না পাওয়া। চার আসরে সব মিলিয়ে খেলা ১২ ম্যাচে বাংলাদেশ গোল পায় মাত্র ১০টি, হজম করে ১৮টি।

সবশেষ কিরগিজস্তানের ত্রিদেশীয় আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্টে খেলা তিন ম্যাচের তিনটিতেই হারে দল। সব মিলিয়ে তিন গোল দিয়ে হজম করে ১০টি। কিরগিজস্তানের বিপক্ষে মাহবুবুর রহমান সুফিল একটি এবং কিরগিজস্তান অনূর্ধ্ব-২৩ দলের বিপক্ষে ৩-২ ব্যবধানে হেরে যাওয়া ম্যাচে দুটি গোল করেছিলেন সুমন রেজা।

তাই সোমবারের সংবাদ সম্মেলনে আসছে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে গোলের জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার তাগিদ দিলেন ব্রুসন।

“বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা পাস দিতে পারে না, রক্ষণ সামলাতে পারে না, গোল করতে পারে না-এটা সত্যি নয়। সত্যি হচ্ছে, আমাদের খুব ভালো নাম্বার নাইন ও বক্স প্লেয়ার আছে, যে এক ছোঁয়ায় ফিনিশিং করবে। কিন্তু লিগে যেহেতু গোলের দায়িত্ব দেওয়া হয় বিদেশিদের, তাহলে আমরা কীভাবে গোল করব।”

“আমি মনে করি, মূল আক্রমণভাগের পেছনে আমাদের যে লাইনটা আছে, সেটা মানানসই, ধারালো ও গতিময়। ট্রানজিশনের সময় দ্রুত মুভ করতে পারে এবং এটা বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের জন্য ইতিবাচক দিক। স্কোরিং নিয়ে যদি বলতে হয়, তাহলে বলব, এই দায়িত্ব সবার, এমনকি ডিফেন্ডারদেরও।”

৩-৪-৩ ফরমেশন থেকে বেরিয়ে ৪-৩-৩ ছকে দলকে ফিরিয়েছেন ব্রুসন। রক্ষণাত্মক কৌশল থেকে বেরিয়ে আগ্রাসী মনোভাবে খেলাতে চান তিনি। সাফের কঠিন পথ পাড়ি দিতে আক্রমণ ও রক্ষণে দলকে ঐক্যবদ্ধ দেখতে চান এই স্প্যানিশ কোচ।

“এট খুবই সাধারণ একটা বিষয়। আমাদের দলে সবাই আক্রমণ করবে, সবাই রক্ষণ সামলাবে। সবশেষ ম্যাচে বাংলাদেশ দল রক্ষণে মনোযোগী ছিল বেশি এবং আক্রমণে খুব বেশি খেলোয়াড়কে সুযোগ দেওয়া হয়নি। এ মুহূর্তে আমরা সেটাও বদলের চেষ্টা করছি।”