গ্রীষ্মের দলবদলের শেষ দিনে ১৮ বছর বয়সী এই খেলোয়াড়ের সঙ্গে ছয় বছরের চুক্তি করার কথা জানায় ইউরোপের সফলতম দলটি। চুক্তি অনুযায়ী, ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে খেলবেন কামাভিঙ্গা।
বুধবার তাকে রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড় হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। পরে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে কামাভিঙ্গা বলেন, দলটিতে যোগ দিয়ে তিনি গর্বিত। এখানে সাফল্য পেতে উজাড় করে দেবেন নিজেকে।
“এখানে আসতে পেরে আমি খুব খুশি। ছোটবেলা থেকেই রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়ার স্বপ্ন দেখেছি। এই ক্লাব এবং আমার পরিবারের জন্য সবকিছু দেওয়ার চেষ্টা করব।”
“যখন জানতে পারলাম আমি রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড় হতে যাচ্ছি তখন থেকেই আমি খুশি। এখানে আসতে পেরে আমি গর্বিত। যা কিছুর মধ্যে দিয়ে আমরা গিয়েছি তারপরও পরিবারের সঙ্গে এখানে থাকতে পেরে আমি গর্বিত।”
কামাভিঙ্গা জানিয়ে দিলেন তার লক্ষ্যের কথাও। আপাতত তার ভাবনা রিয়ালের হয়ে খেলাটা উপভোগ করা।
“এখানে আমি শিখতে এসেছি এবং আমাকে প্রমাণ করতে হবে যে আমি প্রস্তুত। আমি কঠোর পরিশ্রম করব।”
২০১৯ সালে রেনের হয়ে পেশাদার ক্যারিয়ারের শুরু কামাভিঙ্গার। দলটির হয়ে ৮৮টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। গত মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৩৯ ম্যাচ খেলে গোল করেন একটি।
গত বছর উয়েফা নেশন্স লিগে ইউক্রেনের বিপক্ষে ম্যাচে ফ্রান্স জাতীয় দলে প্রথমবারের মতো শুরুর একাদশে নেমেই ওভারহেড কিকে দর্শনীয় এক গোল করেন তিনি। ফ্রান্সের ইতিহাসে যা দ্বিতীয় সবচেয়ে কম বয়সে গোল করার (১৭ বছর ১১ মাস) কীর্তি। গত ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের দলে অবশ্য সুযোগ হয়নি তার।
এত ক্লাব থাকতে রিয়ালকে কেন বেছে নিয়েছেন, সেটাও বললেন কামাভিঙ্গা।
“প্রথম কারণটি অর্থ নয়, এটা স্বপ্ন পূরণের আনন্দ, ছোটবেলা থেকে যে স্বপ্নটা আমি দেখতাম। এখানে আসার বিষয়ে আমাকে দুবার ভাবতে হয়নি। আমি খুব খুশি।”