লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে স্থানীয় সময় রোববার বিকেলে ‘আই’ গ্রুপের ম্যাচে ৪-০ গোলে জেতে ইংল্যান্ড। জোড়া গোল করেন জেসে লিনগার্ড, একটি করে হ্যারি কেইন ও বুকায়ো সাকা।
ইউরোপ অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে নিজেদের প্রথম পাঁচ ম্যাচেই জিতল সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। একই সঙ্গে অ্যান্ডোরার বিপক্ষে পাঁচবারের দেখায় জিতল সবগুলোই; এই ম্যাচগুলোয় ইংলিশদের গোল ২০টি, হজম করেনি একটিও।
ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ইতালির বিপক্ষে টাইব্রেকারে হারের পর এই প্রথম ওয়েম্বলিতে খেলল ইংল্যান্ড।
দুই দিন আগে বুদাপেস্টে হাঙ্গেরির বিপক্ষে ৪-০ গোলে জেতা ম্যাচ থেকে শুরুর একাদশে ১১টি পরিবর্তন আনেন ইংল্যান্ড কোচ। এমন ঘটনা ১৯৮২ সালের পর দলটির জন্য প্রথম।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১৫৬তম স্থানে থাকা অ্যান্ডোরার বিপক্ষে অষ্টাদশ মিনিটে লক্ষ্যে নিজেদের প্রথম শটেই সাফল্য পায় চার নম্বর দল ইংল্যান্ড। বাঁ দিক থেকে সাকার ক্রস হেডে ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে পারেননি সফরকারী ডিফেন্ডার। বাঁ পায়ের শটে বল জালে পাঠান লিনগার্ড।
২১তম মিনিটে অভিষিক্ত প্যাট্রিক ব্যামফোর্ডের পাস ধরে গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে লিনগার্ড জালে বল পাঠালেও অফসাইডের কারণে গোল মেলেনি। ৩৪তম মিনিটে ডি-বক্সে কনর কোডির ওভারহেড কিক ক্রসবারের সামান্য ওপর দিয়ে উড়ে যায়।
প্রথমার্ধে ৮৯ শতাংশ সময় বল দখলে রাখা ইংল্যান্ড বিরতির পরও চাপ ধরে রাখে। ৪৯তম মিনিটে দূর থেকে রিস জেমসের বুলেট গতির শট ক্রসবারে লেগে ফেরায় ব্যবধান বাড়েনি।
৭২তম মিনিটে সফল স্পট কিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নামা কেইন। ডি-বক্সে ম্যাসন মাউন্ট ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি। জাতীয় দলের হয়ে ৬৩ ম্যাচে কেইনের গোল হলো ৪০টি।
পাঁচ ম্যাচে শতভাগ সাফল্যে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে ইংল্যান্ড। সমান ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আলবেনিয়া।
পরের দুটি স্থানে থাকা পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরির পয়েন্ট সমান ৭ করে। ৩ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে অ্যান্ডোরা। সান ম্যারিনোর পয়েন্ট শূন্য।