চারটি দেশের ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থার সভাপতিদের সাক্ষরিত চিঠিতে বিশ্বকাপের বিরতি কমিয়ে দুই বছরে আনার পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের সঙ্গে চিঠিতে সাক্ষর করেছেন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন অব মালদ্বীপ সভাপতি বাসাম আদেল জলিল, অল নেপাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কারমা তিসেরাং শেরপা ও ফুটবল ফেডারেশন অব শ্রীলঙ্কার সভাপতি জাসওয়ার উমর।
ফিফার প্রস্তাবের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণ হিসেবে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, মেধাবী প্রজন্মের বিকোশের ক্ষেত্রে বিশ্বকাপের চার বছরের বিরতি ‘খুব বেশি হয়ে যায়’ এবং আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার উইন্ডো ‘খুব ছোট’ থাকার কথা।
এ পর্যন্ত এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের সদস্য দেশগুলোর চার ভাগের একভাগেরও কম সংখ্যক দেশ বিশ্বকাপে অংশ নিতে পেরেছে, এই প্রতিযোগিতাগুলোর (বিরতি) ফুটবলে উন্নয়নের অন্তরায় বলেও উল্লেখ করা হয়েছে ওই যৌথ চিঠিতে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ফিফার ম্যাচ ক্যালেন্ডার পর্যালোচনার প্রস্তাব সমর্থনে বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, নেপাল এবং শ্রীলঙ্কা একমত। সত্যিকারের বৈশ্বিক খেলা ফুটবলের অংশ হওয়ার জন্য খেলোয়াড়, কোচ এবং কর্মর্তাদের স্বপ্ন থাকা উচিত এবং ফুটবল জাতি হিসাবে সমানতালে বেড়ে ওঠার জন্য, বিশ্বের তারকা পারফরমারদের মতো নিজেদের সম্ভাবনাময়দের সুযোগ করে দেওয়ার মাধ্যমে সমর্থকদের উৎসাহিত করার প্রয়োজনে ফিফার প্রস্তাবকে সমর্থন করার কথাও বলা হয়েছে।
বৈশ্বিক ক্রীড়াঙ্গনের বাড়ন্ত প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব ফুটবলের উন্নতির মূল এবং এ কারণে আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে মানানসই বর্ষপঞ্জি তৈরির পক্ষে ‘সন্তুষ্টচিত্তে অবস্থান’ নেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে চিঠিতে।
বার্ষিক বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টগুলো শুধু উন্নতিতে কিছু ‘বাড়তি যোগ’ করবে উল্লেখ করে আর্সেন ভেঙ্গারের এই বিতর্ক ঘিরে বলা কথাও সমর্থন করা হয়েছে। আর্সেনালের সাবেক কোচ বলেছিলেন-প্রতিটি মেধাবী-প্রতিটি দেশ-সুযোগ পাওয়ারদাবি রাখে।