অনেক আক্রমণের ম্যাচে রিয়াল জিতল এক গোলেই

আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে লড়াই জমল বেশ। অনেক চেষ্টার পর মিলল কাঙ্ক্ষিত গোল। রিয়াল বেতিসের বিপক্ষে প্রত্যাশিত জয় পেল রিয়াল মাদ্রিদ।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 August 2021, 09:56 PM
Updated : 29 August 2021, 03:55 AM

প্রতিপক্ষের মাঠে শনিবার রাতে লা লিগার ম্যাচে ১-০ গোলে জিতেছে কার্লো আনচেলত্তির দল। জয়ের নায়ক দানি কারভাহাল দারুণ নৈপুণ্যে করেন জয়সূচক গোল।

আলাভেসকে ৪-১ গোলে হারিয়ে মৌসুম শুরুর পর গত সপ্তাহে লেভান্তের মাঠে ৩-৩ ড্র করেছিল রিয়াল।

বল দখলের পাশাপাশি আক্রমণেও দুই দল ছিল প্রায় সমানে-সমান। গোলের উদ্দেশে রিয়াল মাদ্রিদ দুটি শট বেশি নিলেও লক্ষ্যে বেশি শট বেতিসের। সফরকারীদের ১৩ শটের মাত্র তিনটি যেখানে লক্ষ্যে, সেখানে বেতিসের ১১ শটের ছয়টিই লক্ষ্যে।

প্রথম দুই ম্যাচে বদলি নেমে তিন গোল করার পুরস্কার হিসেবে শুরুর একাদশে সুযোগ পেলেন ভিনিসিউস জুনিয়র। পঞ্চম মিনিটে তার দারুণ নৈপুণ্যেই প্রথম সুযোগ পায় রিয়াল। প্রতিপক্ষের পা থেকে বল কেড়ে করিম বেনজেমার সঙ্গে পাস দেওয়া-নেওয়া করে আরেকজনকে কাটিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। কিন্তু তার কাটব্যাক ফাঁকায় পেয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন বেনজেমা।

দুই মিনিট পর এদের মিলিতাওয়ের শট গোললাইনে ঝাঁপিয়ে ফেরান বেতিস গোলরক্ষক। একাদশ মিনিটে প্রথম পরীক্ষায় পড়েন রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া। নাবিল ফেকিরের অনেক দূর থেকে নেওয়া ফ্রি কিক ঝাঁপিয়ে ফেরান তিনি।

প্রথমার্ধের কুলিং ব্রেক থেকে ফিরে পরের পাঁচ মিনিটে কয়েকটি ভালো আক্রমণ করে রিয়াল; কিন্তু প্রতিটিরই শেষটা আশানুরূপ হয়নি।

প্রথমার্ধে নিজের ছায়া হয়ে থাকা গ্যারেথ বেল ৫০তম মিনিটে দারুণ একটি ক্রস বাড়ান ডি-বক্সে। তবে বেনজেমার হেড ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক রুই সিলভা। পরের মিনিটে ফরাসি ফরোয়ার্ড জালে বল পাঠালেও বাজে অফসাইডের বাঁশি।

৬০তম মিনিটে প্রতিপক্ষের আক্রমণ রুখে ওঠা প্রতি-আক্রমণে এগিয়ে যায় রিয়াল। বাইলাইন থেকে ভিনিসিউসের কাটব্যাক পেয়ে ডান দিকে দারুণ ক্রস বাড়ান বেনজেমা। আর দুর্দান্ত সাইড ভলিতে দূরের পোস্ট দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন কারভাহাল।

ছয় মিনিট যোগ করা সময়ের একেবারে শেষ মুহূর্তে মাদ্রিদ শিবিরে ভীতি ছড়ান মার্তিন মনতোয়া। এই ডিফেন্ডারের শট ঠেকিয়ে তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করেন কোর্তোয়া।

তিন ম্যাচে দুই জয় ও এক ড্রয়ে রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্ট হলো ৭। যথাক্রমে পরের তিনটি স্থানে থাকা সেভিয়া, ভালেন্সিয়া ও মায়োর্কার পয়েন্টও সমান ৭।

দুই ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচ নম্বরে চ্যাম্পিয়ন আতলেতিকো মাদ্রিদ। সমান ম্যাচে বার্সেলোনার পয়েন্ট ৪।