সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুক্রবার প্রতিযোগিতাটি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার কথা জানান ডব্লিউটিএ র্যাঙ্কিংয়ের তিন নম্বর এই রোমানিয়ান তারকা। এবারের আসরের ড্র হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে সরে দাঁড়ালেন তিনি।
“পায়ের পেশির চোট পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে না পারায় চ্যাম্পিয়নশিপটি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে হচ্ছে, যা ভীষণ হতাশার।”
“দুই বছর আগের পাওয়া সেই বিশেষ স্মৃতি মনে গেঁথে আবারও উইম্বলডনে খেলার প্রস্তুতি নিতে আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। দারুণ এই কোর্টে শিরোপাধারী হিসেবে ফেরার ভাবনায় আমি উচ্ছ্বসিত ও গর্বিত বোধ করছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে আমার শরীর পেরে উঠল না।”
গত মে মাসে ইতালিয়ান ওপেন খেলার সময় বাঁ পায়ের পেশিতে চোট পান ২৯ বছর বয়সী হালেপ। এই কারণে চলতি মাসে শেষ হওয়া ফরাসি ওপেনেও খেলতে পারেননি তিনি।
আগামী সোমবার শুরু হতে যাওয়া এবারের উইম্বলডনে দ্বিতীয় বাছাই হিসেবে খেলার সম্ভাবনা ছিল হালেপের। ২০১৯ আসরে মেয়েদের এককের ফাইনালে সেরেনা উইলিয়ামসকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিলেন তিনি। করোনাভাইরাসের কারণে গতবার না হওয়ায় এবার শিরোপাধারী হিসেবে কোর্টে নামতেন ২৯ বছর বয়সী এই তারকা।
শারীরিক ও মানসিকভাবে আরও শক্তিশালী হয়ে ফেরার প্রত্যয় দুইবারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী এই তারকার কণ্ঠে।
“এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হওয়ায় আমি খুব হতাশ। সময়টা কঠিন; তবে এই দুটি গ্র্যান্ড স্ল্যামে খেলতে না পারাটা মানসিক ও শারীরিকভাবে আমার জন্য আরও চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠেছে। ভবিষ্যতে কী অপেক্ষা করছে দেখা যাবে। আশা করি, এটা আমাকে ব্যক্তি ও ক্রীড়াবিদ হিসেবে আরও শক্তিশালী করবে।”
করোনাভাইরাসের কারণে গত বছরের ইউএস ওপেন থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়া হালেপ এ নিয়ে সবশেষ পাঁচ গ্র্যান্ড স্ল্যামের তিনটিতেই খেলতে পারলেন না।
মানসিক অবসাদের কারণে ফরাসি ওপেনের মাঝপথে নিজেকে সরিয়ে নেওয়া বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ের দুই নম্বর তারকা নাওমি ওসাকা খেলবেন না উইম্বলডনেও।
তাদের অনুপস্থিতিতে দ্বিতীয় বাছাই হিসেবে খেলবেন বেলারুশের আরিনা সাবালেঙ্কা। শীর্ষ বাছাই হিসেবেই খেলবেন র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর তারকা অ্যাশলি বার্টি।
এবারের উইম্বলডনে খেলবেন না এটিপি র্যাঙ্কিংয়ের তিন নম্বর খেলোয়াড় ও ২০টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী তারকা রাফায়েল নাদালও।