ব্রাসিলিয়ার মানে গারিঞ্চায় কোপা আমেরিকার উদ্বোধনী ম্যাচে ৩-০ গোলে জিতে মুকুট ধরে রাখার মিশন শুরু করেছে ব্রাজিল। ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে মার্কিনিয়োস দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন নেইমার। শেষ দিকে জালের দেখা পান গাব্রিয়েল বারবোসা।
শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবলের পসরা মেলেছিল ব্রাজিল। নেইমারও ছিলেন দারুণ ছন্দে। কখনও কর্নারে, কখনও নিখুঁত পাসে গোলের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন।
অষ্টম মিনিটে নেইমারের কর্নারে কাছের পোস্টে রিশার্লিসনের ফ্লিকে স্রেফ পা ছোঁয়ানোর প্রয়োজন ছিল কারো। এরপর নেইমারের পাস ডি-বক্সে খুঁজে পেলেও রিশার্লিসন কাজে লাগাতে পারেননি।
২৩তম মিনিটে মার্কিনিয়োসের দলকে এগিয়ে নেওয়া গোলটির উৎস ছিল নেইমারের কর্নার। অবশ্য সাত মিনিট পর মিলিতাওয়ের উঁচু করে বাড়ানো বল ডি-বক্সে পেয়ে একটুর জন্য শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি নেইমার নিজেই।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে জেসুসের ক্রস থেকে পাওয়া সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি নেইমার। ৬৪তম মিনিটে অবশ্য পেনাল্টি থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলার। চোট কাটিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফেরার পর এ নিয়ে টানা তিন ম্যাচে গোলের দেখাও পেলেন তিনি।
শেষ দিকেও নেইমারের শট এক জনের পায়ে লেগে বাইরে যায়। ৮৯তম মিনিটে নেইমারের কাটব্যাক ছিল বারবোসার গোলের উৎস। ব্রাজিলের শেষ তিন ম্যাচে এটি নেইমারের তৃতীয় ‘অ্যাসিস্ট।’ম্যাচজুড়ে দারুণ খেলা নেইমারের প্রশংসায় মাতলেন তিতে।
করোনাভাইরাসের থাবায় নাজুক ভেনেজুয়েলার প্রতি অবশ্য সমবেদনায় ঝরল ব্রাজিল অধিনায়ক কাসেমিরোর কণ্ঠে।
“তিন পাওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের শুরুটা ভালো করতে হবে, যদিও (করোনাভাইরাসের কারণে) আমাদের প্রতিপক্ষ ভেনেজুয়েলা খেলোয়াড়দের হারিয়েছে।”
প্রথমার্ধের গোলটি পুরো ম্যাচের সুর বেঁধে দিয়েছে বলে মনে করেন ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার মার্কিনিয়োস।
“আমরা জানতাম ভেনেজুয়েলার বন্ধ দুয়ার পেরিয়ে আসতে হবে আমাদের এবং তারা আমাদের জন্য খেলাটা কঠিন করে তুলবে। কিন্তু সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ, আমরা প্রথমার্ধে গোল করতে সক্ষম হই এবং এটা আমাদের সাহায্য করেছে।”
“গোল করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, আমরা সেটা জানি, বিশেষ করে এ ধরনের ম্যাচে। ম্যাচটা উন্মুক্ত করে দেওয়ার জন্য এবং প্রতিপক্ষকে একটু আক্রমণ করে খেলতে বাধ্য করার জন্য এখানে প্রথম গোল খুব গুরুত্বপূর্ণ।”