ইউরোপের সফলতম দলটি মঙ্গলবার ৬১ বছর বয়সী আনচেলত্তিকে ফেরানোর কথা জানায়। আগের দফায় ২০১৩ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত রিয়ালের কোচ ছিলেন তিনি।
আনচেলত্তির সাবেক সহকারী জিদান দায়িত্ব ছাড়ার পর থেকে রিয়ালের কোচ হিসেবে অনেকের নাম শোনা যাচ্ছিল। মাস্সিমিলিয়ানো আল্লেগ্রি, আন্তোনিও কন্তো, মাউরিসিও পচেত্তিনো, রাউল এবং চাভি আলোনসো ছিলেন সম্ভাব্য কোচের তালিকায় কিন্তু শেষ পর্যন্ত আনচেলত্তির উপরই আস্থা রাখল রিয়াল।
সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ের দলটির কোচ হিসেবে আগের দফায় আনচেলত্তির জয়ের হার ছিল ৭৫ শতাংশ। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১১৯ ম্যাচের মধ্যে ৮৯টিতে জিতেছিলেন তিনি। রিয়াল কোচ হিসাবে অন্তত ৫০ ম্যাচে দায়িত্ব পালন করাদের মধ্যে আনচেলত্তির জয়ের হার সবচেয়ে বেশি।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে এই ইতালিয়ান কোচের সঙ্গে সাড়ে চার বছরের চুক্তি করে এভারটন। ১৮ মাসের মাথায় দলটির দায়িত্ব ছাড়লেন তিনি।
সমৃদ্ধ কোচিং ক্যারিয়ারে মোট ১৫টি বড় শিরোপা জিতেছেন আনচেলত্তি। ইউরোপিয়ান শীর্ষ প্রতিযোগিতায় তিনটি শিরোপা জয়ী তিন কোচের একজন তিনি। অন্য দুইজন হলেন, লিভারপুল কিংবদন্তি বব পেইজলি ও রিয়াল মাদ্রিদের জিদান।
আনচেলত্তি এসি মিলানের হয়ে দুইবার ও রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে একবার জিতেছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। ইউরোপিয়ান শীর্ষ ফুটবলে রিয়ালের দশম শিরোপা এসেছিল তার হাত ধরেই, যেটি ‘লা দেসিমা’ নামে পরিচিত।
এছাড়া ইতালিতে মিলানের হয়ে, ইংল্যান্ডে চেলসির হয়ে, পিএসজির হয়ে ফ্রান্সে এবং জার্মানিতে বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে ঘরোয়া শীর্ষ লিগ জয়ের কীর্তি আছে তার।
প্রথম মৌসুমে আনচেলত্তির হাত ধরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সাফল্য পাওয়া পর চোট জর্জর রিয়াল ২০১৪-১৫ মৌসুমে বড় কোনো শিরোপা জিততে ব্যর্থ হয়। ফলে বিদায় ঘণ্টা বেজে যায় তার।
ওই মেয়াদে আনচেলত্তির কোচিং রিয়ালের স্মরণীয় সাফল্য ছিল ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত টানা ২২ ম্যাচ জয়। এ সময়ে ৮০ গোল দিয়ে মাত্র ১০টি হজম করেছিল তারা।
১১ বছরের মধ্যে প্রথম শিরোপাশূন্য মৌসুম কাটানো রিয়ালকে কক্ষপথে ফেরাতে আবার দায়িত্ব নিলেন আনচেলত্তি।