পোর্তোর এস্তাদিও দো দ্রাগাওয়ে শনিবারের ফাইনালে কাই হাভার্টজের গোলে ১-০ ব্যবধানে জেতে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দলটি। ইউরোপ সেরা হওয়ার পথে দলটির কোচ-খেলোয়াড়রাও গড়েছেন বেশ কিছু কীর্তি। তেমন কিছু পরিসংখ্যান তুলে ধরা হলো বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর পাঠকদের জন্য।
>> লিভারপুল (২০০৪-০৫ ও ২০১৮-১৯) ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের (১৯৯৮-৯৯ ও ২০০৭-০৮) পর তৃতীয় ইংলিশ দল হিসেবে দুইবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতল চেলসি।
>> ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় সাতবার ফাইনালে খেলে ছয়বারই শিরোপা জিতল চেলসি। দলটির বর্তমান মালিক রোমান আব্রাহিমোভিচের যুগে জিতল চারবার; চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২০১১-১২ ও ২০২০-২১ আসর এবং ইউরোপা লিগ ২০১২-১৩ ও ২০১৮-১৯ আসরে।
>> সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে অন্য যে কোনো ক্লাবের চেয়ে চেলসির বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ হেরেছেন সিটি কোচ পেপ গুয়ার্দিওলা (৮টি)। স্ট্যামফোর্ড ব্রিজের দলটির বিপক্ষে এটি তার টানা তৃতীয় পরাজয়। কোচিং ক্যারিয়ারে এই স্প্যানিয়ার্ড এছাড়া টানা তিন ম্যাচ হেরেছেন কেবল রিয়াল মাদ্রিদ (২০১২-১৪) ও লিভারপুলের (২০১৮) বিপক্ষে।
>> গত তিন আসরে তৃতীয় জার্মান হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতলেন টমাস টুখেল। ২০১৯-২০ আসরে বায়ার্ন মিউনিখের শিরোপা জয়ের সারথি ছিলেন হান্স ফ্লিক। তার আগের আসরে জিতেছিল ইয়ুর্গেন ক্লপের লিভারপুল।
>> দ্বিতীয় কোচ হিসেবে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে গুয়ার্দিওলার বিপক্ষে টানা তৃতীয় জয় পেলেন টুখেল। ২০১৮ সালে জিতেছিলেন লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ।
>> সিটির কোচ হিসেবে এই প্রথম কোনো ফাইনালে হারলেন গুয়ার্দিওলা। সব মিলিয়ে কোচিং ক্যারিয়ারে এটি তার দ্বিতীয় ফাইনাল হার। ২০১০-১১ আসরে হেরেছিলেন কোপা দেল রেতে।
>> চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ২০তম ম্যাচে এসে প্রথম গোলের দেখা পেলেন হাভার্টজ। ২০১৩ সালে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের হয়ে ইলকাই গিনদোয়ানের পর প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ইউরোপ সেরার আসরে নিজের প্রথম গোলটি তিনি করলেন ফাইনালে।
>> চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এবারের আসরে ১২ ম্যাচ খেলে নয়টিতে জাল অক্ষত রেখেছেন চেলসি গোলরক্ষক এদুয়াঁ মঁদি। প্রতিযোগিতাটির এক আসরে তার চেয়ে বেশি ম্যাচে জাল অক্ষত রাখতে পারেননি আর কেউ। সেনেগালের এই গোলরক্ষকের মতো এক আসরে সমান সংখ্যক ম্যাচে গোল না খাওয়ার কীর্তি গড়েছিলেন ভালেন্সিয়ার (২০০১-০২) হয়ে সান্তিয়াগো কানিসারেস ও রিয়াল মাদ্রিদের (২০১৫-১৬) হয়ে কেইলর নাভাস।
>> মঁদির এই ৯ ম্যাচে গোল না খাওয়া চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অভিষেক আসরে কোনো গোলরক্ষকের ক্ষেত্রে রেকর্ড।