গত মৌসুম শেষে কাতালান দলটি তার সঙ্গে যে ব্যবহার করেছিল, তা বলতে গিয়ে উরুগুয়ের এই তারকা স্ট্রাইকার টানলেন বন্ধু লিওনেল মেসির প্রসঙ্গ; গত অগাস্টে মেসি ছাড়তে চেয়েছিলেন কাম্প নউ আর সুয়ারেসের তখন ডাক পড়েছিল বন্ধুকে বোঝানোর। আর ঠিক তার কদিন পরই সুয়ারেসকে বিদায় করে দেয় দলটি।
সুয়ারেস চাননি বার্সেলোনা ছাড়তে। খুব করে চেয়েছিলেন প্রিয় আঙিনায় থেকে যেতে। প্রয়োজনে বদলি হিসেবে খেলতেও রাজি ছিলেন। কিন্তু কোনো কিছুতেই কোচ রোনাল্ড কুমানের পরিকল্পনায় জায়গা মেলেনি তার। গত বছরের সেপ্টেম্বরে দুই বছরের চুক্তিতে পাড়ি জমান আতলেতিকোয়।
মাদ্রিদের দলটিতে দুহাত ভরে সাফল্য পেয়েছেন ৩৪ বছর বয়সী এই ফুটবলার। লা লিগা জয়ের পথে দলের হয়ে করেছেন সর্বোচ্চ ২১ গোল। তার জয়সূচক গোলেই গত শনিবার শেষ রাউন্ডে রিয়াল ভাইয়াদলিদকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করে দিয়েগো সিমেওনের দল।
বার্সেলোনা ছাড়ার পর বিভিন্ন সময়ে কুমানের প্রতি ক্ষোভ ঝেড়েছেন সুয়ারেস। সম্প্রতি এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে আবারও ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। জানালেন শিরোপা জয়ের পর কেন কেঁদেছিলেন।
“ওটা ছিল আমার আনন্দের অশ্রু।…আমি বার্সেলোনার বিপক্ষে যাব না। আমি সবসময় দলটির কাছে কৃতজ্ঞ থাকব; কারণ তারা আমাকে সবকিছু দিয়েছে এবং শীর্ষ পর্যায়ে খেলার সুযোগ করে দিয়েছিল।”
“কিন্তু (বার্সেলোনা) প্রেসিডেন্ট আমাকে না জানিয়ে সবকিছু গণমাধ্যমে বলে দিয়েছিলেন। যখন তারা চেয়েছিল মেসি থেকে যাক, তখন তারা আমাকে ফোন দিয়েছিল মেসিকে বোঝাতে। (অঁতোয়ান) গ্রিজমানের সঙ্গে কথা বলতেও তারা আমাকে ফোন করেছিল…তাহলে আমাকে যখন ছেড়ে দিতে চেয়েছিল, তখন কেন আমাকে ফোন দিতে পারল না?”
কুমান সেই সময় তার পরিকল্পনায় সুয়ারেসের না থাকার বিষয়টি জানিয়েছিলেন। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত তার নিজের নয় বলে মনে করেন ছয় মৌসুম বার্সেলোনায় কাটানো সুয়ারেস।
“এরপর কোচ (কুমান) আমাকে বললেন, তার পরিকল্পনায় আমি নেই কারণ তিনি অন্য ধরনের স্ট্রাইকার খুঁজছেন। একই সঙ্গে কুমান এটাও বলেছিলেন, ‘তারা তোমাকে এটা বলতে বলেছে’।”
“আবার (প্রস্তুতি ম্যাচে) তিন ম্যাচ আমাকে বসিয়ে রাখার পর কুমান বলেছিলেন, বিষয়গুলোর সমাধান না হলে আমাকে ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে (মৌসুমের প্রথম ম্যাচ) দলে রাখবেন। তখন উপলব্ধি করলাম, তার ব্যক্তিত্বে তেমন দৃঢ়তা নেই। আসলে সব সিদ্ধান্ত আসছিল ওপর থেকে।”