গ্রানাদার মাঠে বুধবার রাতে প্রতিযোগিতাটির শেষ আটে নির্ধারিত সময়ে ২-২ সমতার পর অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ম্যাচে ৫-৩ ব্যবধানে জিতেছে বার্সেলোনা। গত মাসে এই মাঠে লা লিগার ম্যাচে ৪-০ গোলে জিতেছিল কাতালান দলটি।
কেনেদি ও রবের্তো সলদাদোর গোলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়া গ্রানাদা দেখছিল দারুণ এক জয়ের স্বপ্ন। শেষ দিকে পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে অঁতোয়ান গ্রিজমান ও জর্দি আলবার গোলে সমতা টানে বার্সেলোনা। অতিরিক্ত সময়ে গ্রিজমান তাদের এগিয়ে নেওয়ার পর সমতা ফেরান ফেদে ভিকো। পরে ফ্রেংকি ডি ইয়ং ও আলবার গোলে জয়োল্লাসে মেতে ওঠে সফরকারীরা।
২৩তম মিনিটে গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিলেন মেসি। আর্জেন্টাইন তারকার ফ্রি-কিক বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে ফেরান গোলরক্ষক।
৩৩তম মিনিটে এগিয়ে যায় গ্রানাদা। বাঁ দিকের বাইলাইনের কাছে সামুয়েল উমতিতির ভুলে বল পেয়ে ছয় গজ বক্সে বাড়ান আলবের্তো সরো। পায়ের টোকায় সহজেই জাল খুঁজে নেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার কেনেদি।
প্রথমার্ধে ৬৩ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে গোলের উদ্দেশে ১১টি শট নেয় বার্সেলোনা, এর ৬টি ছিল লক্ষ্যে। এই সময়ে গ্রানাদার ৩ শটের একটি ছিল লক্ষ্যে, সেটিতেই মেলে সাফল্য।
৬১তম মিনিটে মেসির শট ডান দিকে ঝাঁপিয়ে ফেরান এসকান্দেই। পরক্ষণে ত্রিনকাওয়ের শট ক্রসবার কাঁপিয়ে ফেরে। ৮২তম মিনিটে ছয় গজ বক্সের সামনে থেকে গ্রিজমানের ওভারহেড কিকে বল ক্রসবারের ওপর দিয়ে পাঠান গোলরক্ষক।
অবশেষে ৮৮তম মিনিটে গ্রিজমানই কমান ব্যবধান। মেসির ক্রসে কাছ থেকে ফরাসি ফরোয়ার্ডের শট পোস্টে লেগে গোলরক্ষকের পা ছুঁয়ে জালে জড়ায়।
নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে মেসির শট লাগে পোস্টে। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে সমতা ফেরে ম্যাচে। এই গোলেও অবদান ছিল মেসির। তার ক্রসে গ্রিজমানের হেড পাসে হেডেই বল জালে পাঠান আলবা। পরক্ষণে দারুণ একটি সুযোগ পেয়েও বাইরে দিয়ে মারেন গ্রানাদার বদলি ফরোয়ার্ড লুইস সুয়ারেস।
দুই মিনিট পর গ্রানাদার কার্লোস নেভাকে সের্জিনো দেস্ত ডি-বক্সে ফেলে দিলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। ঠাণ্ডা মাথার স্পট কিকে সমতা টানেন ভিকো।
১০৮তম মিনিটে বার্সেলোনাকে আবার এগিয়ে নেন ডি ইয়ং। মেসির নিচু শট গোলরক্ষক ফেরানোর পর কাছ থেকে বল জালে পাঠান তিনি। আর ১১৩তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলে জয় নিশ্চিত করেন আলবা।