লাল কার্ড পাওয়া মেসির পাশেই কোচ

মাঠে তাকে খুব একটা মাথা গরম করতে দেখা যায় না। মাঝে মধ্যে ক্ষণিকের জন্য হতাশা পেয়ে বসলেও সামলে উঠতে ভুল হয় না লিওনেল মেসির। কিন্তু এবার আর পারেননি; স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে প্রতিপক্ষকে অহেতুক আঘাত করে দেখেন লাল কার্ড। বার বার ফাউলের শিকার হওয়ার কারণেই মেজাজ হারিয়ে বার্সেলোনা অধিনায়ক এমন আচরণ করেছেন বলে মনে করেন দলটির কোচ রোনাল্ড কুমান।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Jan 2021, 10:42 AM
Updated : 18 Jan 2021, 10:42 AM

সেভিয়ায় রোববরা রাতে শিরোপা লড়াইয়ে দুবার এগিয়ে গিয়েও ব্যবধান ধরে রাখতে পারেনি বার্সেলোনা। নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে স্কোরলাইন ২-২ করে ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে নেওয়া বিলবাও পরে ৩-২ ব্যবধানে জিতে শিরোপা উঁচিয়ে ধরে।

বার্সেলোনার দুটি গোলই করেন অঁতোয়ান গ্রিজমান। প্রথম গোলটির আক্রমণের উৎস অবশ্য ছিলেন মেসি; তবে এর পরে আর চেনা ছন্দে দেখা যায়নি তাকে।

উল্টো শেষ সময়ে মেজাজ হারিয়ে ক্লাব ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো দেখেন লাল কার্ড। ঘটনাটি ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ের যোগ করা মিনিটে। খুব কাছে গিয়ে শিরোপা হারাতে হচ্ছে, এমন হতাশা থেকেই কি-না মাঝমাঠের কাছে আসিয়েরকে অহেতুক আঘাত করেন ছয়বারের বর্ষসেরা ফুটবলার। বার্সেলোনার হয়ে ৭৫৩তম ম্যাচে এসে এটিই তার প্রথম লাল কার্ড পাওয়ার ঘটনা।

ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে অবধারিতভাবেই ওঠে বিষয়টি। কুমানের দাবি, ঘটনাটি তিনি পরিষ্কার দেখেননি। তবে নিজের মতো করেই আগলে রাখতে চাইলেন অধিনায়ককে।

“আমি বুঝতে পারছি মেসি কী করেছে।”

বার্সেলোনা অধিনায়ক লিওনেল মেসি এদিন চেনা ছন্দে ছিলেন না।

“জানি না, কতবার তারা মেসিকে ফাউল করেছে। আর যখন কেউ ড্রিবল করে এগিয়ে যেতে চায় এবং পদে পদে তাকে ফাউল করা হয় তখন ওই খেলোয়াড়ের পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখানোটা স্বাভাবিক। তবে প্রকৃত ঘটনা বুঝতে আমাকে আবার তা ভালোভাবে দেখতে হবে।”

এই ঘটনায় লা লিগা ও কোপা দেল রে মিলে আর্জেন্টাইন তারকা চার ম্যাচ নিষিদ্ধ হতে পারেন বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

মেসিকে নিয়ে আলোচনা অবশ্য এখানেই শেষ নয়। প্রশ্ন উঠেছে এই ম্যাচে তার খেলা নিয়েও। চোটের কারণে তিনি সেমি-ফাইনালে ছিলেন না, রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে। ফাইনালের কয়েক ঘন্টা আগেও অনিশ্চিত ছিল তার মাঠে নামা।

রোমাঞ্চকর ফাইনালে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মেসি নিষ্প্রভ হয়ে পড়ায় তার ম্যাচ ফিটনেস ছিল কি-না, এ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন কুমান। তবে নিজের সিদ্ধান্তে কোনো গলদ দেখছেন না ডাচ কোচ।

“আমি মনে করি, শীর্ষ পর্যায়ে অনেক বছর ধরে খেলায় সে জানে কখন সে খেলার উপযুক্ত আর কখন নয়।”

“আমি তার সঙ্গে কথা বলেছিলাম এবং সে বলেছিল, ম্যাচ শুরু করার মতো সে যথেষ্ঠ ফিট।”

কোপা দেল রেতে আগামী বৃহস্পতিবার বার্সেলোনার প্রতিপক্ষ স্বাগতিক কোরনিয়া।

লা লিগায় দুই ম্যাচ বেশি খেলেও শীর্ষে থাকা আতলেতিকো মাদ্রিদের চেয়ে ৭ পয়েন্টে পিছিয়ে তিনে কুমানের দল।