লিগ শিরোপা পুনরুদ্ধারের মিশনে শুরু থেকেই ধুঁকছে বার্সেলোনা। আগের ম্যাচে ঘরের মাঠে ভালেন্সিয়ার বিপক্ষে করেছিল ২-২ ড্র। পয়েন্ট টেবিলে অবস্থান পাঁচে। সবমিলিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে ফুঁসে ওঠার দরকার ছিল দলটির। প্রতিপক্ষের মাঠে মঙ্গলবার ৩-০ গোলের জয়ে সেটিই করে দেখিয়েছে কুমানের দল।
কৌতিনিয়ো ও গ্রিজমানকে বেঞ্চে রেখে ৩-৫-২ ফরমেশনে দল সাজান কুমান। এই কৌশলে মাঝমাঠ ছিল বার্সেলোনার নিয়ন্ত্রণে। দুই ফুল ব্যাক জর্দি আলবা ও সের্জিনো দেস্তের ছিল উপরে ওঠার পূর্ণ স্বাধীনতা।
তাতে দাপুটে ফুটবল খেলে অসংখ্য সুযোগ তৈরি করে গত ১ অক্টোবরের পর প্রথমবারের মতো প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে জয় নিয়ে ফেরে কাম্প নউয়ের দলটি। নতুন কৌশল কাজে লাগায় ম্যাচ শেষে কুমানের কণ্ঠে ছিল উচ্ছ্বাস।
“রক্ষণে শক্তি বাড়াতে এবং ফুল ব্যাকদের আরও কাজে লাগাতে আমরা ফর্মেশনে পরিবর্তন এনেছিলাম।”
“একইসঙ্গে কোনো সমস্যা ছাড়াই আমরা নিজেদের মতো খেলা গড়ে নিতে পেরেছি। অনেক সময় বলের দখল রাখতে পেরেছি…আমরা কার্যকর একটা দলকে দেখলাম, যারা ভালোভাবে মনোযোগ ধরে রেখে প্রচুর সুযোগ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে।”
“এর মানে, আমাদের দলের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা দারুণ এবং স্কোয়াড খুবই শক্তিশালী।”
ম্যাচটিতে নিজেদের পুরনো বিধ্বংসী রূপে মেলে ধরেছিল বার্সেলোনা। স্বরূপে ছিলেন লিওনেল মেসি। ক্লেমোঁ লংলের প্রথম গোলটি ছিল তারই গড়ে দেওয়া। মার্টিন ব্রাথওয়েটের দ্বিতীয় গোলের ভিতটাও গড়ে উঠেছিল আর্জেন্টাইন তারকার পায়ে। এরপর নিজে তৃতীয় গোল করে পেলেকে ছাড়িয়ে গড়েন এক ক্লাবের হয়ে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড।
মেসির সঙ্গে মিডফিল্ডার পেদ্রির বোঝাপড়া ছিল নজরকাড়া। তার পাস থেকেই ক্লাবের হয়ে ৬৪৪তম গোলটি করেন রেকর্ড ছয়বারের বর্ষসেরা ফুটবলার। ম্যাচ শেষে ১৮ বছর বয়সী পেদ্রির প্রশংসা করেন কুমান।
“পেদ্রি আরও মাঝ বরাবর খেললে আরও ভালো খেলে…লিও ও অন্যদের সঙ্গে তার বোঝাপড়া খুব ভালো ছিল।”
“সে ভালো খেলছে, কঠোর পরিশ্রম করছে। বিশেষ করে অফ দা বলে সে দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।”
এই জয়ের পরও শীর্ষে থাকা আতলেতিকো মাদ্রিদের চেয়ে ৮ পয়েন্ট পিছিয়ে কুমানের দল। ম্যাচও একটা কম খেলেছে দিয়েগো সিমেওনের দল।
বড়দিনের ছোট বিরতি শেষে আগামী মঙ্গলবার ঘরের মাঠে এইবারের বিপক্ষে খেলবে বার্সেলোনা।