স্বাগতিক কাদিসের বিপক্ষে শনিবার ২-১ ব্যবধানে হারের ম্যাচে দুটি গোলই বার্সেলোনা হজম করে রক্ষণের ভুলে।
পুরোপুরি রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলা কাদিসের বিপক্ষে গোলের উদ্দেশে ২১টি শট নেয় বার্সেলোনা, যার ১০টিই নেন লিওনেল মেসি। তবে এর কোনোটিতেই মেলেনি জালের দেখা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে প্রতিপক্ষের আত্মঘাতী গোলে সমতায় ফিরেছিল তারা।
এর খানিক পরেই হাস্যকর ভুল করে বসে বার্সেলোনার রক্ষণ। জর্দি আলবার ডি-বক্সে বাড়ানো সাদামাটা থ্রোয়িংয়ে তালগোল পাকান ক্লেমোঁ লংলে, ক্লিয়ার করতে পারেননি গোলরক্ষক মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেনও। বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ঠান্ডা মাথায় ফাঁকা জালে পাঠান আলভারো নেগ্রেদো।
লিগে ১০ ম্যাচে চতুর্থ হারের স্বাদ পাওয়া কুমান ম্যাচ শেষে কাতালান নেটওয়ার্ক টিভিথ্রিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রক্ষণের ভুল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
“অবিশ্বাস্য এক ভুলের কারণে হেরেছি আমরা। আমার দলের থেকে এমন পারফরম্যান্স আশা করি না আমি।”
“এতে এটাই প্রমাণিত হয় যে আমরা মনোযোগী ছিলাম না। আজ রাতে আমাদের শরীরী ভাষা ভালো ছিল না। আমি খুব হতাশ এবং আমাদের উন্নতি করতে হবে।”
ম্যাচের শুরুর দিকে প্রথম গোলটিও সফরকারীরা হজম করে রক্ষণের ভুলে। কর্নারে ফালোর হেড ফ্লিকে ছোট ডি-বক্সে আসা বল ঠেকাতে গিয়ে নিজেদের জালের দিকে হেড করে বসেন তরুণ ডিফেন্ডার অস্কার মিনগেসা। গোলরক্ষক মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন ঝাঁপিয়ে ঠেকানোর চেষ্টা করেছিলেন, বলে হাতও লাগিয়েছিলেন; কিন্তু গোললাইন থেকে টোকা দিয়ে বাকি কাজ সারেন হিমেনেস।
এই হারে পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে থাকা আতলেতিকো মাদ্রিদের চেয়ে ১২ পয়েন্টে পিছিয়ে পড়েছে বার্সেলোনা। দু্ই ম্যাচ আগে তারা আতলেতিকোর মাঠে হেরেছিল রক্ষণের ভুলেই। এই ধরণের ভুলের ব্যাখ্যা নেই কুমানের কাছে।
“শেষ দিকে আমরা যে গোলগুলো খাচ্ছি তার ব্যাখ্যা খুঁজে পাওয়া কঠিন। মনোযোগের ঘাটতির কারণে এটা হতে পারে।”
গত মৌসুমে লম্বা সময় পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থেকেও শেষ দিকের ছন্দহীনতায় রিয়াল মাদ্রিদের কাছে শিরোপা হারিয়েছিল কাতালান দলটি। এবার শুরুতেই ধারাবাহিকতার অভাবে শিরোপা পুনরুদ্ধারের পথ কঠিন করে তুলেছে তারা। সবশেষ এই হার দলকে আরও পিছিয়ে দিয়েছে বলে মনে করেন কুমান।
“এই হার শিরোপা লড়াইয়ের পথে আমাদের জন্য অনেক বড় এক ধাক্কা।”
“আজকের এই হতাশাজনক ফলের পর বিষয়টাকে আমাদের এভাবেই দেখতে হবে। ১২ পয়েন্ট অনেক বড় ব্যবধান, তবে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।”