নেপালের জালে গোল চান সাদ

যেকোনো ফরোয়ার্ডেরই লক্ষ্য থাকে ম্যাচে গোল করার। সাদ উদ্দিনের কাছে অবশ্য দলে অবদান রাখাই গুরুত্বপূর্ণ; সেটা গোল করে হোক কিংবা করিয়ে। তবে নেপালের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে গোলে অবদান রাখা এই তরুণ এবার চান নিজে গোল করতে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Nov 2020, 01:16 PM
Updated : 15 Nov 2020, 01:16 PM

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আগামী মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচে নেপালের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। গত শুক্রবার প্রথম প্রীতি ম্যাচে ২-০ গোলে জিতেছিল জেমি ডের দল।

রোববার বিকালে অনুশীলন সারার পর সাদ জানালেন ব্যক্তিগত লক্ষ্য, দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচ নিয়ে নিজের ভাবনা।

“অনেক দিন পর মাঠে ফিরে গোল করতে পারিনি, কিন্তু অ্যাসিস্ট করেছি; ভালো লাগছে। ম্যাচ বাই ম্যাচ উন্নতি করার চেষ্টা করছি। চেষ্টা করব পরের ম্যাচে গোল করার। তবে গোল মূল বিষয় নয়, যদি দলকে সাহায্য করতে পারি, সে চেষ্টা করে যাব।”

“নেপাল-বাংলাদেশ ম্যাচ সবসময় ফিফটি-ফিফটি ম্যাচ। কঠিন ম্যাচ হয়। ওদের ফিটনেস এত খারাপ না। আগের ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে ওরা ভালো করেছে। আমরা ডাউন ছিলাম। পরের ম্যাচ আরও কঠিন হবে, আরও ইন্টারেস্টিং হবে মনে হচ্ছে।”

প্রথম প্রীতি ম্যাচের নবম মিনিটে তপু বর্মন হেডের সহজ সুযোগ নষ্ট করেছেন। সুযোগ মিস করেছেন নাবীব নেওয়াজ জীবনও। সাদ জানালেন, আগের ভুলগুলো শুধরে নিয়ে প্রস্তুত হওয়ার কথা। টানলেন আগামী ৪ ডিসেম্বরে কাতারের বিপক্ষে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের প্রিলিমিনারি রাউন্ডের দ্বিতীয় ধাপের ম্যাচের প্রসঙ্গও।

“অনেকদিন পর আমরা মাঠে ফিরে জয় পেয়েছি। সবাই খুশি। আমাদের সবার মন ভালো আছে। পরের ম্যাচের জন্য প্রস্তুত হচ্ছি। আগের ম্যাচে আমাদের অনেক ভুল হয়েছিল। সেগুলোর পুনরাবৃত্তি না করার চেষ্টা করছি।”

“প্রথমার্ধে সবাই ভালো খেলেছে। দ্বিতীয়ার্ধে কেউ দাঁড়িয়ে থাকেনি, চেষ্টা করেছে ভালো করার। অনেক দিন পরে খেলার কারণে কিছু খেলোয়াড়ের সমস্যা হয়েছে। অনেকে আবার ভালো করেছে। পরের ম্যাচে আশা করি, এই সমস্যা হবে না। আরও দুই-চারটা ম্যাচ খেললে আশা করি, আমাদের ফিটনেস ফিরে আসবে।”

মাঠে জীবন-সাদের রসায়নটা ছিল দারুণ। আক্রমণভাগে বাঁ দিকে খেলা মোহাম্মদ ইব্রাহিমও খেলেছেন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে। কিন্তু মাঝমাঠের সঙ্গে বনিবনা ছিল না তেমন একটা। সাদ জানালেন, সে ঘাটতি পুষিয়ে নিতে কাজ করার কথা।

“এটা নিয়ে কোচ আজ আমাদের অনুশীলন করিয়েছেন। পাসিং প্র্যাকটিস হয়েছে। মাঝে আমাদের এই অনুশীলনটা যথাযথ হচ্ছিল না। কোচ বলে দিয়েছেন আমাদের এটা কীভাবে করতে হবে। আশা করি, আস্তে আস্তে এটা হয়ে যাবে। গত আট মাস খেলা না থাকা এবং অনেক দিন পর একসাথে খেলার কারণে বোঝাপড়া একটু কম ছিল, এ কারণে সমস্যা হয়েছে।”

“আজকে আমাদের ট্রেনিংয়ে পাসিং, ক্রসিং, ফিনিশিং নিয়ে কাজ ছিল। কাল রানিং এবং ম্যাচ প্রিপেয়ারের জন্য যা দরকার, সেগুলো করা হবে।”

হুট করে প্রধান কোচ জেমি ডে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেও দল মনোবল হারায়নি বলে জানালেন আবাহনী লিমিটেডের এই ২২ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড।

“এটার প্রভাব পড়বে না। সবাই মানসিকভাবে দৃঢ় আছে। সহকারী কোচ আজ আমাদের সব বিষয় বলে দিয়েছেন। আশা করি, কোচ আমাদের সবার মাঝে ফিরে আসবে। আমরা সবাই মানসিকভাবে শক্ত আছি।”