বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শুক্রবার প্রথম প্রীতি ম্যাচে নাবীব নেওয়াজ জীবন ও মাহবুবুর রহমান সুফিলের গোলে বাংলাদেশের কাছে ২-০ ব্যবধানে হারে নেপাল। আগামী মঙ্গলবার সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচ মাঠে গড়াবে।
সফরে আসার আগেই নেপালের ক্যাম্পে থাবা বসিয়েছিল করোনাভাইরাস। আক্রান্ত হয়ে দল থেকে ছিটকে পড়েন সাত খেলোয়াড়। ঢাকায় আসার পর একই কারণে হারাতে হয় রনজিৎ ধিমালকে। করোনাভাইরাসের থাবা আর লম্বা সময় পর মাঠে ফেরায় ফিটনেসের ঘাটতিকে হারের কারণ মনে করছেন মহারজন।
“আমরা ৯ মাস পর খেলার প্রস্তুতি নিয়েছি। মাত্র অল্প কিছুদিন ফিটনেস পুনরুদ্ধারের সুযোগ পেয়েছি। প্রস্তুতি ম্যাচও খেলার সুযোগ পাইনি। আমরা এই স্বল্প সময়ে নিজেদের সেরা চেষ্টা করেছি।”
“আমাদের দলের গভীরতা কম। আক্রমণেও খুব বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। যা পেয়েছি সেগুলোও কাজে লাগাতে পারিনি। আশা করি, পরের ম্যাচে এই সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠতে পারব।”
তবে অল্প সময়ের প্রস্তুতিতে দলের খেলায় খুশি মহারজন। শুভেচ্ছা জানালেন জয়ী বাংলাদেশকে।
“বাংলাদেশকে শুভেচ্ছা জয়ের জন্য। হার-জিত খেলার অংশ। তবে আমি দলের খেলায় সন্তুষ্ট। বাংলাদেশে আসার আগে আমরা এক সপ্তাহ অনুশীলন করেছি, এখানে এসেও অনুশীলন করার সুযোগ পেয়েছি আর এক সপ্তাহ। এমন প্রস্তুতির পর এই ম্যাচে ছেলেরা যা করেছে, তাতে আমি সন্তুষ্ট।”