করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে গত মার্চ থেকে বন্ধ দেশের ফুটবল। জুনে বাতিল হয়ে যায় ২০১৯-২০ মৌসুম। খেলোয়াড়রা ছুটি পেয়ে ফিরেছিলেন বাড়ি। এর মধ্যে কেবল বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড়রাই গত মাসের শুরু থেকে ক্লাবে অনুশীলনে ছিলেন। তাই তপু-ইব্রাহিমদের সঙ্গে জীবন-রায়হানদের ফিটনেসের পার্থক্য কিছুটা হলেও আছে।
নেপালের বিপক্ষে আগামী ১৩ ও ১৭ নভেম্বরের দুটি প্রীতি ম্যাচ সামনে রেখে গত শনিবার শুরু হয়েছে জাতীয় দলের অনুশীলন ক্যাম্প। বুধবার প্রথম কায়সারের অধীনে ট্রেনিং করেছেন কিংসের খেলোয়াড়রা। কিংসের খেলোয়াড়দের সঙ্গে বাকিদের ফিটনেসের পার্থক্য খুব একটা দেখছেন না সহকারী কোচ।
“আমি আগেও বলেছিলাম, প্রথম সপ্তাহ ফিটনেস লেভেল ভালো পর্যায়ে নেওয়ার জন্য কাজ করা হবে। ওই লেভেল অনুযায়ী নেপাল ম্যাচের আগে প্রধান কোচ যে দুই সপ্তাহ সময় পাবেন, কাজ করবেন। এই সপ্তাহটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বিভিন্ন ধরনের শর্ট রানিং, লং রানিংয়ের টেস্ট হয়েছে।”
“গতকাল ক্যাম্পে যোগ দিয়েছে বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড়রা। ওরা আজ টেস্ট দিয়েছে। এর আগে যারা ক্যাম্পে যোগ দিয়েছিল তাদের আর কিংসের খেলোয়াড়দের ফিটনেস লেভেল কাছাকাছি। আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে দলের সবার ফিটনেস লেভেলটা একই ধাপে নিয়ে যাওয়া।”
লম্বা সময় খেলোয়াড়দের অনুশীলন ও প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচের বাইরে থাকার বাস্তবতাও তুলে ধরলেন কায়সার। জানালেন, পুরোপুরি ফিট হতে আরও সময় লাগবে সবার।
“শুধু রানিং করলে ফিটনেস থাকে না। ফুটবল বিষয়ক কিছু বিষয় থাকে। সবাই জানেন কিংসের খেলোয়াড়রা ট্রেনিং করলেও ম্যাচ খেলেনি। ম্যাচ ফিটনেস পুরোপুরি আলাদা বিষয়, ওই ক্ষেত্রে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি।”
“যেহেতু সাত-আট মাস কেউ কোনো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ বা টুর্নামেন্ট খেলেনি, তাই ম্যাচ ফিটনেস আনার জন্য পুরো দল নিয়ে আমরা যদি নিজেদের মধ্যে ম্যাচ খেলতে পারি, তাহলে ভালো হবে। প্রধান কোচ (জেমি ডে) আসার পর নিজেদের মধ্যে ম্যাচ খেলতে পারি। ফিটনেস পরিপূর্ণ লেভেলে যেতে হলে সময় লাগবে।”
আগামী বৃহস্পতিবার প্রধান কোচ জেমি ডের ইংল্যান্ড থেকে ঢাকায় আসার কথা রয়েছে।