বর্ষসেরার সংক্ষিপ্ত এই তালিকা বুধবার প্রকাশ করে ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থা উয়েফা।
২০১১ সালে পুরস্কারটি দেওয়া শুরুর পর থেকে এবারই প্রথম সেরা তিনে নেই লিওনেল মেসি ও ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। সমান ৫৩ ভোট পেয়ে যৌথভাবে তালিকার চারে বার্সেলোনা তারকা মেসি ও নেইমার। ২৫ ভোট নিয়ে দশে ইউভেন্তুস ফরোয়ার্ড রোনালদো।
বায়ার্নের ষষ্ঠ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ে অগ্রণী ভূমিকা ছিল লেভানদোভস্কির। আসরে সর্বোচ্চ ১৫টি গোল করেন তিনি। ট্রেবলজয়ী বায়ার্নের হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলে গত মৌসুমে ৪৭ ম্যাচে ৫৫ গোল করেন এই পোলিশ স্ট্রাইকার।
বায়ার্নের অসাধারণ সাফল্যে অভিজ্ঞ জার্মান গোলরক্ষক নয়ারের অবদানও কোনো অংশে কম নয়। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ছয় ম্যাচে জাল অক্ষত রাখেন তিনি। পুরো মৌসুমে মাত্র এক ম্যাচে ছিলেন দলের বাইরে।
ব্যক্তিগতভাবে দারুণ মৌসুম কাটান ডে ব্রুইনে। প্রিমিয়ার লিগে স্পর্শ করেন এক মৌসুমে ২০ অ্যাসিস্টের রেকর্ড। পাশাপাশি করেন ১৩ গোল।
বর্ষসেরা নারী ফুটবলার ও কোচের সংক্ষিপ্ত তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে।
নারী ফুটবলারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন ম্যানচেস্টার সিটির ফুল-ব্যাক লুসি ব্রোঞ্জ, চেলসি স্ট্রাইকার পের্নিলে হাডা ও অলিম্পিক লিওঁর ডিফেন্ডার ওয়েন্দি হোনা।
বর্ষসেরা কোচের সংক্ষিপ্ত তালিকার তিন জনই জার্মান-বায়ার্নের হান্স ফ্লিক, তিন দশক পর লিভারপুলের লিগ শিরোপা জয়ের কারিগর ইয়ুর্গেন ক্লপ ও লাইপজিগের ইউলিয়ান নাগেলসমান।
আগামী ১ অক্টোবর উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বের ড্র অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে।
গত মৌসুমে ইউরোপীয় প্রতিযোগিতার গ্রুপ পর্বে অংশ নেওয়া ৮০ দলের কোচ (চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ৩২ দল ও ইউরোপা লিগের ৪৮ দল) ও ইউরোপিয়ান স্পোর্টস মিডিয়ার নির্ধারিত ৫৫ জন সাংবাদিকের ভোটে এই সংক্ষিপ্ত তালিকা করা হয়েছে।