করোনাভাইরাসের থাবায় লিগ স্থগিত হয়ে যাওয়ার সময় রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে ২ পয়েন্টে এগিয়ে শীর্ষে ছিল বার্সেলোনা। কিন্তু পরে পথ হারিয়ে দ্বিতীয় স্থানে নেমে যাওয়া কিকে সেতিয়েনের দলটি পারেনি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের টপকাতে। এক ম্যাচ বাকি থাকতে শিরোপা পুনরুদ্ধার করে জিনেদিন জিদানের দল।
এরনেস্তো ভালভেরদের কোচিংয়ে গত দুই মৌসুমে লিগ চ্যাম্পিয়ন হয় বার্সেলোনা। কিন্তু মৌসুমের শুরু থেকে তাদের পারফরম্যান্সে ছিল ছন্দের অভাব। গত জানুয়ারিতে তাকে ছাঁটাই করে সেতিয়েনকে দায়িত্ব দেয় কর্তৃপক্ষ। তবে তার হাত ধরে দলের পারফরম্যান্সে তেমন কোনো উন্নতি হয়নি, বরং সাম্প্রতিক সময়ে কোচ-খেলোয়াড়দের সম্পর্কে ভাঙনের খবর এসেছে সংবাদমাধ্যমে।
“এটি খুব অদ্ভুত এক পরিস্থিতি। আমি বুঝতে পারছি না, কিভাবে তারা ভেঙে পড়ল। এরনেস্তো ভালভেরদেকে বরখাস্ত করাটা আমাকে অবাক করেছিল। এরপর কিকে সেতিয়েন তার কিছু দর্শন নিয়ে এলো এবং দলটি ভেঙে পড়ল।”
লিওনেল মেসিসহ দলের সিনিয়র খেলোয়াড়দের বয়স বাড়ছে। কমছে তাদের পারফরম্যান্সের ধারও। তাই বার্সেলোনার সামনের পথচলা কঠিন হবে বলে মনে করেন কাপেলো।
“তাদের ভালো মানের খেলোয়াড় আছে, কিন্তু অনেকের বয়স হয়েছে। সামনে জটিল পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে যাচ্ছে দলটি।”
অনাকাঙ্ক্ষিত বিরতির পর মেসিকে স্বরূপে দেখা যায়নি, গোল করতে ভুগেছেন অনেক ম্যাচে। আর সেজন্য ভুগতে দেখা গেছে ‘মেসি নির্ভর’ বার্সেলোনাকে। রেকর্ড ছয়বারের বর্ষসেরা এই ফুটবলারের অবসরের পর দলটি কেমন করবে, তা দেখার অপেক্ষায় কাপেলো।
“সে (মেসি) অসাধারণ। আমার মতে সর্বকালের সেরা। বার্সেলোনা মানেই মেসি। সে অবসর নেওয়ার পর কী হবে, তা আমরা দেখব।”