শিরোপা হারানো বার্সার আগুনে পুড়ল আলাভেস

শিরোপা হাতছাড়া হওয়ার পর নিয়মরক্ষার ম্যাচে স্বরূপে ফিরল বার্সেলোনা। জোড়া গোল করলেন লিওনেল মেসি। জালের দেখা পেলেন আনসু ফাতি, লুইস সুয়ারেস ও নেলসন সেমেদো। পয়েন্ট তালিকার নিচের দিকের দল আলাভেসকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে লা লিগা অভিযান শেষ করল কাতালান ক্লাবটি।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 July 2020, 04:54 PM
Updated : 19 July 2020, 09:18 PM

প্রতিপক্ষের মাঠে রোববার লিগের শেষ রাউন্ডে ৫-০ গোলে জিতেছে গত দুবারের চ্যাম্পিয়নরা। পোস্ট দুর্ভাগ্য বাঁধ না সাধলে ব্যবধান হতে পারতো অনেক বড়।

ওসাসুনার বিপক্ষে ঘরের মাঠে হারা দলে ছয়টি পরিবর্তন এনে খেলতে নামা বার্সেলোনা প্রথম ১৬ মিনিটে দারুণ চারটি সুযোগ পায়। কিন্তু দুর্ভাগ্যকে এড়াতে পারেনি তারা; তিনটি প্রচেষ্টা পোস্টে বাধা পায়।

তারুণ্যে দারুণ ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দেওয়া রিকি পুস তৃতীয় মিনিটেই দলকে এগিয়ে নিতে পারতেন। ডি-বক্সের বাইরে থেকে তার নেওয়া জোরালো শট ক্রসবারে লাগে।

চার মিনিট পর সতীর্থের বাড়ানো বল ছোট ডি-বক্সের বাইরে নিয়ন্ত্রণে নিতে ব্যর্থ হন মেসি। দ্বাদশ মিনিটে আর্তুরো ভিদালের বুলেট গতির শট ক্রসবারে লাগে। এবং ষোড়শ মিনিটে প্রায় ২০ গজ দূর থেকে মেসির শটও বাঁ দিকের পোস্টে বাধা পায়।

দুর্ভাগ্যকে অবশেষে বার্সেলোনা পিছু ছাড়াতে পারে ২৪তম মিনিটে। ডান দিক থেকে মেসির বাড়ানো বল প্রতিপক্ষের একজনের পায়ে লেগে একটু ওপরে উঠে যায়। ছুটে এসে ডান পায়ের ভলিতে ঠিকানা খুঁজে নেন ১৭ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড ফাতি।

তিন মিনিট পর সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন সুয়ারেস। মাঝমাঠ থেকে পুসের দারুণ থ্রু পাস ধরে দ্রুত এগিয়ে যান তিনি। সামনে একমাত্র বাধা ছিল গোলরক্ষক; কিন্তু ওয়ান-অন-ওয়ানে আগুয়ান গোলরক্ষক বরাবর শট নিয়ে বসেন উরুগুয়ের স্ট্রাইকার।

একের পর এক আক্রমণে প্রতিপক্ষকে কোণঠাসা করে ফেলা বার্সেলোনা দ্বিতীয় গোলের দেখা পায় ৩৪তম মিনিটে। পুসের পাস ডি-বক্সে পেয়ে জায়গা বানিয়ে বল জালে ঠেলে দেন মেসি।

দারুণ গোছানো আক্রমণে ৪৪তম মিনিটে তৃতীয় গোল পায় বার্সেলোনা। বাঁ দিক থেকে জর্দি আলবার উঁচু করে বাড়ানো বল হেডে জালে জড়ান সুয়ারেস।

বিরতির পরও একই রূপে শুরু করা বার্সেলোনা ৫৭তম মিনিটে স্কোরলাইন ৪-০ করে। ম্যাচ জুড়ে দুর্দান্ত খেলা স্প্যানিশ মিডফিল্ডার পুসের ছোট পাস পেয়ে জোরালো কোনাকুনি শটে বল ঠিকানায় পাঠান নেলসন সেমেদো।

৭৬তম মিনিটে আরেকটি গোছানো আক্রমণে নিজেরে দ্বিতীয় গোল করেন মেসি। বাঁ থেকে আলবার বাড়ানো বল পেয়ে হাফ-ভলিতে আসরে নিজের ২৫তম গোলটি করেন সর্বোচ্চ গোলদাতা। এরই সঙ্গে লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার পিচিচি ট্রফি জয় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায় মেসির। তার চেয়ে ৪ গোল কম নিয়ে তালিকার দুইয়ে আছেন রিয়াল মাদ্রিদের করিম বেনজেমা।

আসরে এটা বার্সেলোনার ২৪তম জয়। সঙ্গে সাত ড্রয়ে ৮২ পয়েন্ট নিয়ে লিগ রানার্সআপ হলো দলটি।

ওসাসুনার বিপক্ষে হারের পর দলের পারফরম্যান্সের কড়া সমালোচনা করেন মেসি। সতীর্থদের সতর্ক করতে বলেন, উন্নতি না করতে পারলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও হারতে হবে। অধিনায়কের সঙ্গে কণ্ঠ মেলান কোচ কিকে সেতিয়েন। দ্রুতই চেনা রূপে ফিরল দলটি, ইঙ্গিত দিল দারুণ কিছুর।

আপাতত কিছুদিন বিশ্রাম নিয়ে তারা ঝাঁপিয়ে পড়বে ইউরোপ সেরার মঞ্চে। সেখানে শেষ ষোলোর ফিরতি পর্বে ঘরের মাঠে নাপোলির বিপক্ষে খেলবে বার্সেলোনা। প্রথম লেগ হয়েছিল ১-১ ড্র।