গ্রাসরুট ফুটবল: প্রতি ভেন্যুতে ছয়টি করে ব্যাচ

চারটি জেলায় গ্রাসরুট ফুটবল কর্মসূচি শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।প্রতিটি ভেন্যুতে মোট ছয়টি ব্যাচ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 July 2020, 12:46 PM
Updated : 12 July 2020, 12:46 PM

এক বিবৃতিতে রোববার বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ চার অঞ্চলের ভেন্যুর পরিকল্পনা নিয়ে জানান। চারটি ভেন্যু হচ্ছে নীলফামারী, মাদারীপুর, ফেনী ও ঢাকা।

“এই চারটি ভেন্যুর প্রতিটিতে ছয়টি ব্যাচ বা ছয়টি গ্রুপকে চূড়ান্ত করা হবে। সেখানে ছেলেদের জন্য চারটি গ্রুপ এবং মেয়েদের জন্য দুটি গ্রুপ থাকবে। ছেলেদের চারটি ব্যাচে চার বয়সভিত্তিক ক্যাটেগরি থাকবে। এগুলো হবে ৮ বছর থেকে ১৮ বছর বয়সের মধ্যে। মেয়েদের ক্ষেত্রেও বয়স হবে ৮ থেকে ১৮ এর মধ্যে (৮-১৩ বছর বয়সী একটি এবং ১৩-১৮ বছর বয়সী আরেকটি ব্যাচ)।”

“প্রতি ব্যাচে ছেলেদের সর্বোচ্চ ৫০ জন এবং মেয়েদের ৩০ জন করে খেলোয়াড় থাকবে। বাফুফের নিয়োগকৃত কোচের অধীনে অনুশীলন করবে তারা। প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৩টি করে ব্যাচ অনুশীলন করবে। তিনটি ব্যাচ শনি-সোম-বুধ, বাকি তিনটি ব্যাচ রবি-মঙ্গল-বৃহস্পতিবার অনুশীলন করবে।”

এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন এএফসির এই প্রকল্পের অধীনে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের নিয়ে সপ্তাহে একদিন কাজ হবে বলেও জানান সোগাগ।

“শুক্রবার দিনটা শুধুই ওদের জন্য বরাদ্দ থাকবে। সেইদিন তাদের নিয়ে কাজ করবেন বাফুফের নিয়োগকৃত কোচেরা।”

আপাতত চারটি ভেন্যুতে কার্যক্রম চালানো হলেও আগামীতে এর সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনাও জানিয়েছেন বাফুফে সাধারণ সম্পাদক। শিগগিরি খেলোয়াড়দের নিবন্ধনের তারিখ ঘোষণা করা হবে বলেও জানান তিনি।
“আগামী তিন বছরের মাথায় আমরা পর্যায়ক্রমে এই চারটি ভেন্যুকে কীভাবে ১০টি বা ১২টি ভেন্যুতে উন্নীত করতে পারি, সেটা আমাদের ভাবনায় আছে।”

“গ্রাসরুট অনুশীলনের এর জন্য খেলোয়াড় বাছাইয়ের লক্ষ্যে নিবন্ধনের তারিখ ঘোষণা করা হবে। এরপর ট্যালেন্ট হান্টের মাধ্যমে সেরাদের নিয়ে তৃণমূলের কার্যক্রম শুরু করব।”