কদিন আগেই সাররি বলেছিলেন, একই সঙ্গে তাদের মাঠে রাখা কঠিন। সেরি আ মাঠে ফেরার পর দুই জনই দেখিয়েছেন, কাজটা মোটেও কঠিন নয়। যত দিন যাচ্ছে মাঠে জুটির রসায়ন আরও জমছে। আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে ইউভেন্তুসের আক্রমণভাগ।
টানা নবম শিরোপার পথে থাকা দলটি মঙ্গলবার পেয়েছে আরেকটি জয়। জেনোয়ার মাঠে জিতেছে ৩-১ গোলে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে দিবালা দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান বাড়ান রোনালদো। পরে স্কোরলাইন ৩-০ করেন দগলাস কস্তা। ম্যাচ শেষের প্রতিক্রিয়ায় দলের পারফরম্যান্স নিয়ে সন্তুষ্টির কথা জানান কোচ সাররি।
“আমি মনে করি, দল ভালো খেলেছে, এমনকি প্রথমার্ধেও। কয়েকটি পরিষ্কার সুযোগ পেয়েছি এবং কোনো গোল খাইনি। এটা একটা ভালো দলীয় প্রচেষ্টা ছিল আর আমরা তিনটি চমৎকার গোল করেছি। ইতালিয়ান কাপের হতাশা কাটিয়ে আমরা ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছি। শারীরিকভাবে ঠিক হওয়া ছিল শুধু সময়ের ব্যাপার।”
“প্রথমার্ধে সে পাঁচটি শট নিয়েছিল, অর্থাৎ তার যা করার, এর বেশিই করেছে। গোলের জন্য প্রায়ই ক্রিস্তিয়ানো মুক্ত থাকে। কিন্তু যখন সে ঠিক করে খেলাটা দ্রুত এগিয়ে নেবে তখন সে-ই সবার সেরা।”
“সত্যি বলতে, আমি দিবালাকে উঠিয়ে নিতে চেয়েছিলাম, এরপর ক্রিস্তিয়ানোকে বেছে নিই, সে অনেক মিনিট খেলেছে। গত কয়েকদিন ধরে এটি নিয়ে আমরা আলোচনা করছিলাম। সে জানত, স্কোরলাইন ৩-০ হওয়ার পর তাকে উঠে আসতে হবে এবং সে তা করেছে।”
করোনাভাইরাসের অনাকাঙ্ক্ষিত বিরতির পর মাঠে ফিরে ইতালিয়ান কাপে টানা দুই ম্যাচে গোলশূন্য ছিল ইউভেন্তুস। প্রতিযোগিতার ফাইনালে নাপোলির বিপক্ষে হারের পর দলের তারকা খেলোয়াড়দের দোষ দিয়েছিলেন সাররি।
তবে লিগে দলটি পেল টানা তৃতীয় জয়। এই তিন ম্যাচেই জালের দেখা পেয়েছেন রোনালদো ও দিবালা। এই দুজন একসঙ্গে কাজ করার ফল পাচ্ছেন বলে মনে করেন সাররি।
“মুভ করার ক্ষেত্রে কিছু একটা পরিবর্তন হয়েছে। তারা একে অন্যকে আরও বেশি খুঁজে নেওয়াটা শিখছে। তারা বুঝতে পেরেছে, একে অন্যের থেকে উপকৃত হচ্ছে। এটা এমন কিছু, যা অনুশীলনেও লক্ষ্য করেছি।”