বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়া এই আন্দোলনের প্রভাব পড়েছে ইংল্যান্ডেও। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের হুমকির কারণে সমাবেশের ব্যাপারে সরকারের সতর্কবাণী থাকলেও হাজার হাজার লোক এই আন্দোলনে শরিক হয়েছেন।
গত ২৫ মে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা রাজ্যের মিনিয়াপোলিসে ৪৬ বছর বয়সী কৃষ্ণাঙ্গ ফ্লয়েড পুলিশ হেফাজতে মারা যান। একটা সময় বাস্কেটবল ও ফুটবল খেলতেন তিনি।
হাতকড়া পরানো ফ্লয়েডের ঘাড়ে পুলিশের হাঁটু দিয়ে চেপে রাখার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে চারদিকে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ক্রীড়াঙ্গণেও তার ছোঁয়া লাগে। এরই মধ্যে বুন্ডেসলিগার বিভিন্ন দল, খেলোয়াড়, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দল, ক্রিকেটারসহ ক্রীড়াঙ্গনের অনেকে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বছরের পর বছর ধরে চলে আসা বর্ণবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো এই মুহূর্তে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন স্টার্লিং। বিবিসি নিউজনাইট প্রোগ্রামে বর্ণবাদকে মহামারীর সঙ্গেও তুলনা করেন ২৫ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড।
“এটা মহামারীর মতো। এর একটা সমাধান চাই আমরা। প্রতিবাদকারীরাও একই কাজ করছে। তারাও একটা সমাধান খুঁজে পাওয়ার এবং যে অবিচার তারা দেখছে, সেটা থামানোর একটা পথ খুঁজছে। তারা নিজেদের দাবির পক্ষে লড়াই করছে।”
“যতক্ষণ তারা এই প্রতিবাদ শান্তিপূর্ণভাবে ও নিরাপদভাবে করছে, কাউকে আঘাত না করে এবং কোনো দোকানপাট ভাঙচুর না করে করছে, ততদিন তারা শান্তিপূর্ণভাবে এই প্রতিবাদ চালিয়ে যাবে।”
স্টার্লিং নিজেও শিকার হয়েছেন বর্ণবাদী আচরণের। আগেও এ বিষয় নিয়ে সরব হয়েছেন তিনি। জানালেন বদলে যাওয়া যে চিন্তা, সেটা সত্যিকার অর্থে করে দেখানো প্রয়োজন।
“এটা শত শত বছর ধরে চলছে, মানুষ এখন ক্লান্ত। তারা পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত। অনেক দিন ধরে আমি এটা বলছি। অনেক মানুষকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রতিবাদ করতে ও আন্দোলনকে সমর্থন করতে দেখি, কিন্তু বিষয়টির ইতি টানতে শুধু কথা বলার চেয়ে আরও কিছুর প্রয়োজন।”
“আমাদের আসলেই পরিবর্তনগুলোর বাস্তবায়ন প্রয়োজন এবং যে জায়গাগুলোয় পরিবর্তন দরকার, সেগুলো তুলে ধরতে হবে।”