২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপের সময়সূচির জন্য এই পরিবর্তেনর যৌক্তিক সম্ভাবনা দেখছেন মনতাগ্লিয়ানি। ইতালির রেডিও স্পোর্তিভাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের এই ভাবনা তুলে ধরেন তিনি।
“আমাদের এমন সুযোগ আছে। কারণ কাতারে ২০২২ বিশ্বকাপ হবে নভেম্বর-ডিসেম্বরে এবং এটা ভালো পরিকল্পনা হতে পারে।”
কনকাকাফের সভাপতি মনতাগ্লিয়ানি তার ভাবনার পক্ষে উদাহরণ হিসেবে আমেরিকার ফুটবল মৌসুমকে তুলে ধরেন।
“আমেরিকায় (বেশ কয়েকটি দেশে) আগে থেকেই বর্ষপঞ্জিকা অনুসারে ফুটবল মৌসুম চলে। তাই এটা একটা সমাধান হতে পারে, যা ইউরোপ ও আফ্রিকাতেও চালু করা যেতে পারে। জাতীয় ও মহাদেশীয় পর্যায়ে এটা কার্যকর করতে আলোচনা করা যেতে পারে।”
“এটা বাতিল করে দেওয়ার মত কোনো ভাবনা নয়। পরের দুই বছর ও আগামী শীতকালীন বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে এটা একটা সমাধান হতে পারে।”
সম্প্রতি ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর কণ্ঠেও ছিল একই সুর। ফুটবল যখন পুনরায় শুরু হবে, তখন তা পুরোপুরি ভিন্ন চেহারার হবে বলে মনে করেন তিনি।
“আগেই আমরা ২০২৪ পরবর্তী সময়ে নতুন বর্ষপঞ্জিকা নিয়ে ভাবতে শুরু করেছিলাম। এই সঙ্কটকালীন সময়ে আমাদের দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”
এর আগে কার্ল-হেইঞ্জ রুমেনিগে ইউরোপিয়ান ক্লাব অ্যাসোসিয়েশনের (ইসিএ) সভাপতি থাকাকালীন সময়ে বর্ষপঞ্জিকা অনুযায়ী মৌসুম চালানোর ধারণা দিয়েছিলেন। ২০১৩ সালে ফ্রান্স ফুটবল ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের মতের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেছিলেন হেইঞ্জ।
“জার্মানি, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড সবখানেই গ্রীষ্ম হলো বছরের সেরা সময়। আর এই সময়টাতেই আমরা ফুটবল খেলি না।”
“তীব্র শীতে, যখন প্রচণ্ড ঠাণ্ডা পড়ে এবং তুষারপাত হয়, এর প্রায় পুরোটা সময়ে আমরা ফুটবল খেলি। তখনকার ওই পরিস্থিতি খেলোয়াড় ও দর্শকদের জন্য প্রতিকূল। এটা যৌক্তিক নয়।”