প্রাণঘাতী ভাইরাসের প্রকোপে ফেন্সিংয়ের অনুশীলনও বন্ধ করে দিয়েছে ফেডারেশন। তাই ফয়েল, মাস্ক, গ্লাভসের মতো অনুশীলনের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু বাড়িতে নিয়ে গেছেন ফাতেমা।
“যে পরিস্থিতি চলছে, বাইরে যাওয়া নিষেধ। এদিকে স্টেডিয়ামে অনুশীলনও বন্ধ। এভাবে ঘরে থাকতে থাকতে দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু কিছু করার নেই। তবে অনুশীলন চলছে। অনুশীলনের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীগুলো নিয়ে এসেছিলাম, সেগুলো দিয়ে। ফেন্সিংয়ে ফুটওয়ার্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এটা তো করছিই, ফিজিক্যাল ট্রেনিংও করছি ফিটনেস ধরে রাখতে।”
“এর বাইরে ঘরের কাজে সাহায্য করছি। রান্না করছি টুকটাক। তবে খুব একটা ভালো রান্না করতে পারি না। আমার বাবা (খোরশেদ আলী) একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা; তার কাছ থেকে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনেও কিছুটা সময় কাটছে। বর্তমানে বাবা একটু অসুস্থ। তাকে ওষুধ খাইয়ে দিই। এটা-ওটা করি। অবশ্য বাবা খুব রাগী। তার সঙ্গে বেশিক্ষণ গল্প করা যায় না (হাসি)। এছাড়া একটু পড়াশোনাও করছি।”
“অনেকে বেরিয়ে পড়ছেন কিন্তু দয়া করে এটা করবেন না। ঘরে থাকুন। তাহলেই কেবল আমরা এই রোগ থেকে রক্ষা পাব। সরকারের নির্দেশনা মেনে চলুন। আমরা খেলোয়াড়, বাইরে-বাইরে থাকি। ঘরে থাকা আমাদের জন্য কষ্টের, কিন্তু তারপরও নিজের ও পরিবারের ভালোর জন্য রয়েছি। আপনারাও থাকুন।”