চেলসিতে সাতটি সফল মৌসুম কাটিয়ে গত জুনে স্পেনের রাজধানীতে পাড়ি জমান আজার। ইংলিশ দলটির হয়ে দুইবার করে জেতেন প্রিমিয়ার লিগ ও ইউরোপা লিগ শিরোপা। একবার হন প্রফেশনাল ফুটবলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (পিএফএ) বর্ষসেরা ফুটবলার।
চোটের জন্য নতুন ক্লাবে নিজেকে প্রমাণ করার তেমন সুযোগ পাননি তিনি। গত মাসে গোড়ালির চোটে মৌসুমের বাকি সময়ের জন্য ছিটকে যাওয়ার আগে লা লিগায় ১০ ম্যাচে করেন কেবল এক গোল। গত নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্তও একই চোট নিয়ে ছিলেন মাঠের বাইরে।
বেলজিয়ামের আরটিবিএফকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আজার জানান, শুরুটা ভালো না হলেও সমালোচকদের মন জয় করার যথেষ্ঠ সময় তার হাতে আছে।
“মাদ্রিদে আমার প্রথম মৌসুমটা খারাপ হয়েছে, তবে সবকিছুই খারপ নয়। মৌসুমটা ছিল (আমার জন্য) মানিয়ে নেওয়ার। আমি আমার দ্বিতীয় মৌসুমের জন্য মূল্যায়িত হব। এটি অসাধারণ সব খেলোয়াড়দের দল। অনেক নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হয়েছি। এটা ছিল আমার জন্য দুর্দান্ত এক অভিজ্ঞতা।”
“আমার চুক্তির এখনও চার বছর বাকি এবং এসময় ফর্মে থাকব বলে আশা করছি।”
গত ২২ ফেব্রুয়ারি চোট নিয়ে ছিটকে যাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে আজারের গোড়ালিতে অস্ত্রোপচার হয়। চোট কাটিয়ে ২০২০ ইউরোয় খেলার ব্যাপারে ছিলেন আশাবাদী; বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে যে টুর্নামেন্ট পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে এক বছর। এতে হতাশ আজার, তবে মনে করেন সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে উয়েফা।
“জীবনের গুরুত্বটা সবার আগে, তার মানে এটা বাতিল করতেই হত। দিন শেষে ফুটবলাররাও বাকি অন্যদের মতো।”