কাঠমান্ডুর নয়াবাজার কৃতিপুরে শনিবার ফাইনালে নেপালের রাবিনা থাপাকে ১৫-১০ পয়েন্টে হারান ফাতেমা। সেমি-ফাইনালে ভারতের দিয়ানা দেবীর বিপক্ষে ১৫-১১ ব্যবধানে জিতেন।
পণ করেছিলেন ফাতেমা; সোনার পদক জিতলেই উদযাপন করবেন জন্মদিন। নয়তো নয়। এমনকি সতীর্থদের জানাবেনও না।
“আজ আমার জন্মদিন। কিন্তু এ কথা কাউকে জানাইনি। ভেবে রেখেছিলাম যখন জিতব, তখন জানাব সবাইকে। জন্মদিনে সোনার পদক জিততে পেরে খুবই ভালো লাগছে।”
“ফেন্সিং রাজকীয় খেলা। খুব ড্রেস পরা থাকে। এটা দেখে খুব ভালো লাগে আমার। ভাইয়ের মাধ্যমে ২০১৩ সালে এই খেলায় আসি। ঘরোয়াতে ৪টি সোনা জিতেছি। দলগততে ৭টি। আত্মবিশ্বাস ছিল এখানে পারব। যদিও এখানকার কন্ডিশন খুব ভালো ছিল না।”
“প্রথমে লিগ পর্বে খেলেছি। শ্রীলঙ্কা, ভারতের প্রতিপক্ষকে হারানোর পর নেপালের প্রতিপক্ষকে ফাইনালে হারালাম। আত্মবিশ্বাস ভালো ছিল। প্রথম বিদেশে এসে সোনা জিতলাম। খুব ভালো অনুভূতি হচ্ছে।”
আনন্দ, উচ্ছ্বাসের মধ্যে কিছুটা বিষাদও জেঁকে ধরেছে ফাতেমাকে। এমন সাফল্য যে দেখতে পারলেন না ২০০১ সালে না ফেরার দেখে চলে যাওয়া মা হাসিনা বেগম।
“২০০১ সালে মা স্ট্রোক করে মারা গেছেন। মার কথা মনে পড়ছে।”