ফাতেমার সোনালি জন্মদিন

৭ ডিসেম্বর, এতদিন ছিল কেবল জন্মদিনের শুভেচ্ছায় ভেসে যাওয়ার দিন। এবার সেটিকে নতুন রঙে রাঙালেন ফাতেমা মুজিব। দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে গলায় পরলেন সোনার পদক। নিজের নামটিকে লিখে রাখলেন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ফেন্সিংয়ে প্রথম সোনাজয়ী বাংলাদেশি হিসেবে।

মোহাম্মদ জুবায়েরমোহাম্মদ জুবায়েরকাঠমান্ডু থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Dec 2019, 01:35 PM
Updated : 7 Dec 2019, 02:39 PM

কাঠমান্ডুর নয়াবাজার কৃতিপুরে শনিবার ফাইনালে নেপালের রাবিনা থাপাকে ১৫-১০ পয়েন্টে হারান ফাতেমা। সেমি-ফাইনালে ভারতের দিয়ানা দেবীর বিপক্ষে ১৫-১১ ব্যবধানে জিতেন।

পণ করেছিলেন ফাতেমা; সোনার পদক জিতলেই উদযাপন করবেন জন্মদিন। নয়তো নয়। এমনকি সতীর্থদের জানাবেনও না।

“আজ আমার জন্মদিন। কিন্তু এ কথা কাউকে জানাইনি। ভেবে রেখেছিলাম যখন জিতব, তখন জানাব সবাইকে। জন্মদিনে সোনার পদক জিততে পেরে খুবই ভালো লাগছে।”

“ফেন্সিং রাজকীয় খেলা। খুব ড্রেস পরা থাকে। এটা দেখে খুব ভালো লাগে আমার। ভাইয়ের মাধ্যমে ২০১৩ সালে এই খেলায় আসি। ঘরোয়াতে ৪টি সোনা জিতেছি। দলগততে ৭টি। আত্মবিশ্বাস ছিল এখানে পারব। যদিও এখানকার কন্ডিশন খুব ভালো ছিল না।”

“প্রথমে লিগ পর্বে খেলেছি। শ্রীলঙ্কা, ভারতের প্রতিপক্ষকে হারানোর পর নেপালের প্রতিপক্ষকে ফাইনালে হারালাম। আত্মবিশ্বাস ভালো ছিল। প্রথম বিদেশে এসে সোনা জিতলাম। খুব ভালো অনুভূতি হচ্ছে।”

আনন্দ, উচ্ছ্বাসের মধ্যে কিছুটা বিষাদও জেঁকে ধরেছে ফাতেমাকে। এমন সাফল্য যে দেখতে পারলেন না ২০০১ সালে না ফেরার দেখে চলে যাওয়া মা হাসিনা বেগম।

“২০০১ সালে মা স্ট্রোক করে মারা গেছেন। মার কথা মনে পড়ছে।”