ভুল বার্তায় বিভ্রান্ত চট্টগ্রাম আবাহনী!

সবকিছুই চলছিল পরিকল্পনামাফিক। কিন্তু বাইরে থেকে ডাগআউটে বার্তা এলো-হারলে বিদায়। এর পাঁচ মিনিটের মধ্যে গোল খেয়ে বসল হঠাৎ এলোমেলো হয়ে যাওয়া চট্টগ্রাম আবাহনী। শেষ পর্যন্ত আর ওই গোল শোধ করতে পারেনি তারা। প্রথম হারের স্বাদ নিয়ে মাঠ ছেড়েছে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপের প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়নরা।

ক্রীড়া প্রতিবেদকচট্টগ্রাম থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Oct 2019, 04:13 PM
Updated : 25 Oct 2019, 04:15 PM

চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে শুক্রবার ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে ভারতের দল মোহনবাগানের কাছে ১-০ গোলে হারে চট্টগ্রাম আবাহনী। হারলেও গোল পার্থক্যে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমি-ফাইনালে উঠেছে বন্দরনগরীর দলটি।

মোহনবাগানের বিপক্ষে সেরা একাদশে ছয় পরিবর্তন আনেন মারুফুল। বেঞ্চের শক্তি পরখ করে নেওয়ার সন্তুষ্টি আছে তার। তবে বাইরে থেকে পাওয়া বার্তাকে গোল হজম করার কারণ বলে জানালেন তিনি।

“ম্যাচ শুরুর আগে যে হিসাব ছিল-গোল পার্থক্যে আমাদের গোল ৫টি, মোহনবাগানের একটি, এলিফ্যান্টসের ০। সেমি-ফাইনালও কাছাকাছি। তাছাড়া গত দুইটা ম্যাচ কঠিন ছিল। এজন্য ছয় জনকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। সেমিতে যত বেশি ফ্রেশ লেগ পাব, ততই ভালো হবে। মোহনবাগান আমাদের ৪ গোল দিতে পারবে না, দলের ওপর এই ভরসা ছিল আমার।”

“৫৫তম মিনিটের দিকে হঠাৎ করে এক অফিসিয়ালের বার্তা গোলো ডাগআউটে-হারলে আমাদের বিদায়। ওই বার্তা পাওয়ার পর খেলোয়াড়রা বিভ্রান্ত হয়ে গিয়েছিল এবং পাঁচ মিনিট পর গোল খেয়ে বসলাম।”

“এরপর তো জামাল ভূইয়া, আরিফুর রহমান, চিনেডু ম্যাথিউকে নামালাম। ৮০ মিনিটের দিকে জানতে পারলাম ওই বার্তা ভুল। আমাদের হিসাবই ঠিক ছিল।”

ভালো খেলে জয় পাওয়ার সন্তুষ্টি ম্যাচ শেষে জানালেন মোহনবাগান কোচ হোসে আন্তোনিও।

“আমি খুশি। ভালো ম্যাচ খেলেছি আমরা। আমরা তুলনামূলকভাবে ভালো দল ছিলাম। রক্ষণে ভালো করেছি। বল নিয়ন্ত্রণে রেখেছিলাম। সমন্বয় ছিল। এখন সেমি-ফাইনালে খেলার অপেক্ষায়। আমাদের এই মুহূর্তটা উপভোগ করতে হবে। ঘুরে দাঁড়াতে পেরে আমি খুশি।”