‘বেশি দর্শক এলেই বেস্ট খেলবে বাংলাদেশ’

সল্ট লেক স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে চলবে বিরামহীন তর্জন-গর্জন। প্রতিপক্ষ যাবে ভড়কে। বধের বাকি কাজটুকু সারবে খেলোয়াড়রা। কলকাতার ফুটবল পাগলদের নিয়ে এটা বেশ প্রচলিত কথা। মামুনুল ইসলামের কথাগুলো অজানা নয়। কিন্তু মাঠের লড়াই শুরুর আগে ভারতের সমর্থকদের বার্তা দিয়ে দিলেন এই মিডফিল্ডারও-বেশি দর্শক এলেই সেরাটা খেলবেন তারা।

ক্রীড়া প্রতিবেদককলকাতা থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Oct 2019, 01:32 PM
Updated : 13 Oct 2019, 01:32 PM

২০২২ কাতার বিশ্বকাপ ও ২০২৩ সালের এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের দ্বিতীয় রাউন্ডে আগামী মঙ্গলবার স্বাগতিক ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সল্ট লেক স্টেডিয়ামে স্থানীয় সময় সাড়ে ৭টায় শুরু হবে ম্যাচটি।

স্টেডিয়ামের কর্মী, স্থানীয় সাংবাদিক সূত্রে জানা গেলো টিকেট বিক্রি প্রায় সব শেষ। দুই প্রতিবেশির লড়াই দেখতে মুখিয়ে আছেন কলকাতার ফুটবলপ্রেমীরা। মুখিয়ে আছেন মামুনুলও। ভারতের তুলনায় নিজেদের একটুও পিছিয়ে রাখছেন না তিনি।

“আমি বলব ম্যাচটা ফিফটি-ফিফটি। এসব ম্যাচ ফিফটি-ফিফটি ম্যাচ। সে দিন সময়টা যারা নিজের করে নিতে পারে, তারাই সেরা দল। দর্শকের চাপ….বেশি দর্শকের সামনে খেললে আমরা বেস্ট ফুটবল খেলি।”

“সবকিছুই নির্ভর করে রেজাল্টের ওপর। যখন আপনি রেজাল্ট পাবেন, তখন সবকিছু বদলাবে। না পেলে মনে হবে সবকিছু পিছিয়ে। তবে ঘরোয়া ও জাতীয় দল মিলিয়ে আমি বলব গত দুই বছর আগের তুলনায় আমাদের ফুটবল এখন একটা স্ট্যান্ডার্ড পর্যায়ে আছে।”

সেরা একাদশে নিয়মিত নন মামুনুল। তবে ৩০ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার আস্থা রাখছেন কাতার ম্যাচে আলো ছড়ানো জামাল ভূইয়া, বিপলু আহমেদ, সোহেল রানা, মোহাম্মদ ইব্রাহিমদের ওপর। ভারতের বিপক্ষে দলের হাল সিনিয়রদেরই আগে ধরতে হবে বলে মনে করিয়ে দিলেন তিনি।

“জামাল কাতার ম্যাচে খুব ভালো করেছে। তার পরফরম্যান্সে অনেক কিছু নির্ভর করবে। তরুণদের ভালো করতে উৎসাহিত করবে। দলের অনেকের দুই-তিন-চারটা আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে। ২০-৩০ ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা থাকা খেলোয়াড় দলে খুবই কম।”

“ইয়াসিন, রায়হান, সোহেল রানার মতো গুটি কয়েকজন ৩০-৩৫ ম্যাচ খেলছে। এই তিনজন আর জামাল যদি ভালো করে, তাহলে যারা অনভিজ্ঞ তারা আত্মবিশ্বাস পাবে। সেটা হলে আমার বিশ্বাস কলকাতাবাসী ভালো একটা ম্যাচ দেখবে।”

নিজের অভিজ্ঞতা থেকে মামুনুল জানালেন ভারতের তারকা ফরোয়ার্ড সুনীল ছেত্রী পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। জানালেন নিজের সতীর্থদের প্রতি আস্থা থাকার কথাও।

“ভারত দলের শক্তির জায়গা সুনীল। এই উপমহাদেশের যেকোনো দলের বিপক্ষে ওরা খেললে সে-ই ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দেয় সুনীল। দারুণ স্ট্রাইকার, ফিনিশার। একটা দলের অনুপ্রেরণার উৎস। কেউ যদি পার্থক্য গড়ে দেয়, আমার মনে হয় সুনীলই গড়ে দিতে পারে।”

“তবে সুনীলকে আটকানোর সামর্থ্য আমাদের আছে। (কাতারের বিপক্ষে) শেষ ম্যাচের পারফরম্যান্সের পর আমরা ভালো অবস্থায় আছি। আমারা যে ডিপ ডিফেন্ডিং খেলি, সেটা ভারতের বিপক্ষে চালিয়ে যাব।”