ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে শনিবার ৩-১ গোলে জিতেছে পেপ গুয়ার্দিওলার দল।
শুরুর একাদশে নিয়মিত জায়গা না পাওয়ায় সম্প্রতি হতাশা প্রকাশ করেছিলেন গাব্রিয়েল জেসুস। এভারটনের বিপক্ষে সেই সুযোগ পেয়ে দলকে পথ দেখালেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। পরে দ্বিতীয়ার্ধে রিয়াদ মাহরেজ ও রাহিম স্টার্লিংয়ের গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সিটি।
প্রতিপক্ষের মাঠে দ্বাদশ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো সিটি। রিয়াদ মাহরেজের ক্রস বিপজ্জনক জায়গায় খুঁজে পায় ইলকাই গিনদোয়ানকে। কিন্তু এই মিডফিল্ডারের শট বারে লেগে ব্যর্থ হয়ে যায়।
এভারটনের রক্ষণাত্মক কৌশলের কারণে আক্রমণে উঠে সতীর্থদের পেতে ভুগতে হয় সিটির খেলোয়াড়দের। মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি নিজেদের হাতে তুলে নেওয়া দলটি ২২তম মিনিটে আরেকটি সুযোগ হারায় কেভিন ডি ব্রুইনের ব্যর্থতায়।
এর তিন মিনিট পরই অবশ্য পুষিয়ে দেন ডি ব্রুইন। তার দারুণ ক্রসে গাব্রিয়েল জেসুসের ডাইভিং হেডে এগিয়ে যায় সিটি।
গোল হজমের পর যেন জেগে ওঠে এভারটন। জিলফি সিগার্ডসনের বুলেট গতির শট দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে নেন সিটি গোলরক্ষক এদেরসন।
৩৩তম মিনিটে আর জাল অক্ষত রাখতে পারেননি তিনি। অ্যালেক্স আইওবির ক্রস ধরে সিমাস কোলমান গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে বল বাড়ান। বাকিটা সারেন ডোমিনিক ক্যালভার্ট-লিউইন।
সবশক্তি দিয়ে রক্ষণ সামলানোয় মনোযোগ দিয়েছিল এভারটন। তবুও শেষরক্ষা হয়নি। ৭২তম মিনিটে দারুণ এক ফ্রি-কিকে জাল খুঁজে নেন মাহরেজ। আরেকটু ভালো করতে পারতেন জর্ডান পিকফোর্ড। এই গোলরক্ষকের গ্লাভসের নিচ দিয়ে জালে জড়ায় বল।
৮০তম মিনিটে কর্নার থেকে ইয়েরি মিনার হেড ঠেকিয়ে সিটির ত্রাতা এদেরসন। পাঁচ মিনিট পর ব্যবধান বাড়ান স্টার্লিং। সের্হিও আগুয়েরোর শট পিকফোর্ডের বুটে লাগলে পেয়ে যান এই ফরোয়ার্ড। বাকিটা সারেন তিনি।
সাত ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার দুই নম্বরে রয়েছে সিটি। দিনের অন্য ম্যাচে শেফিল্ড ইউনাইটেডকে ১-০ গোলে হারানো লিভারপুল ২১ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে শীর্ষে।
বোর্নমাউথের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করা ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেড ১২ পয়েন্ট নিয়ে আছে তৃতীয় স্থানে। সাউথ্যাম্পটনকে ২-১ গোলে হারানো টটেনহ্যাম হটস্পার ১১ পয়েন্ট নিয়ে গোল পার্থক্য এগিয়ে থেকে আছে চার নম্বরে।
এক ম্যাচ কম খেলা লেস্টার সিটি ১১ পয়েন্ট নিয়ে আছে পাঁচে। ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ অ্যালবিয়নকে ২-০ গোলে হারানো চেলসি আছে তাদের পরেই।
আর্সেনালেরও পয়েন্ট ১১। ৮ পয়েন্ট নিয়ে ১১ নম্বরে রয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।