বার্সায় নতুন চ্যালেঞ্জ জিততে উন্মুখ গ্রিজমান

গত মৌসুমে বার্সেলোনার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়া অঁতোয়ান গ্রিজমান ঠিকই কাম্প নউয়ে এলেন এক বছর পর। তবে এ নিয়ে কোনো পরিতাপ নেই ফরাসি ফরোয়ার্ডের। জানালেন, এখন নতুন চ্যালেঞ্জ জয়ের জন্য তিনি উন্মুখ।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 July 2019, 12:00 PM
Updated : 15 July 2019, 12:00 PM

রিলিজ ক্লজের ১২ কোটি ইউরো পরিশোধ করে গত শুক্রবার গ্রিজমানকে আতলেতিকো মাদ্রিদ থেকে দলে টানার কাজ শেষ করে বার্সেলোনা। শনিবার গ্রিজমান বার্সেলোনাতে আসেন। মেডিকেল পরীক্ষার পর রোববার বার্সেলোনার সঙ্গে পাঁচ বছরের চুক্তি সারেন। নতুন দলে ১৭ নম্বর জার্সি পরে খেলবেন রাশিয়া বিশ্বকাপ জেতা এই ফরোয়ার্ড।

গ্রিজমানকে নিয়ে বার্সেলোনার সমর্থকরা দ্বিধা-বিভক্তির মধ্যে রয়েছে। গত বছর ২৮ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড বার্সেলোনার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে আতলেতিকোতে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত যেভাবে ডকুমেন্টারিতে খোলাখুলি জানিয়েছিলেন, তাতে বার্সেলোনার কিছু সমর্থক তাকে ক্ষমা করতে পারেনি।

কাম্প নউয়ে আনুষ্ঠানিক পরিচয় পর্বে এসে ওই তথ্যচিত্র নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় গ্রিজমানকে। তবে আগের সিদ্ধান্ত সময়ের দাবি অনুযায়ী নিয়েছিলেন বলে জানান তিনি।

“অতীতে আমি অনেক বাজে কিছু করেছি। কিন্তু তা নিয়ে আমি কখনই কোনো পরিতাম করি না। কেননা, ওই সময় আমি ওটাই করতে চেয়েছিলাম।”

“শেষ পর্যন্ত বার্সেলোনা এবং আমি একসঙ্গে হয়েছি। এখন এই জার্সি পরার জন্য আমার তর সইছে না। যদি আমাকে ক্ষমা চাইতে হয়, সেটা মাঠে গিয়ে করব, যেখানে আমি আমার সেরাটা করি।”

কাতালান সংবাদমাধ্যম দিয়ারিও স্পোর্ত মে মাসে জানিয়েছিল ওই ডকুমেন্টরির কারণে গ্রিজমানের আসা নিয়ে বার্সেলোনার ড্রেসিংরুমে ভোটাভুটি হয়েছিল। ওই ডকুমেন্টরির কারণে লিওনেল মেসি ও লুইস সুয়ারেসের মতো তারকারা তার ওপর বিরক্ত হয়ে থাকলে তা বুঝতে পারবেন কিনা - এমন প্রশ্নও করেন সাংবাদিকরা।

“হতে পারে। যখন তাদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পাব, তখন দেখা যাবে কি হয়। মাঠে সহযোগিতার মাধ্যমে সব কিছুর সুরাহা করা যেতে পারে।”

“যে বিষয় আমাকে সবচেয়ে সুখী করছে তা হচ্ছে, মেসির সঙ্গে আমি মাতে (দক্ষিণ আমেরিকার এক পানীয়) ভাগাভাগি করতে পারব। সত্যিই আমি ভীষণ খুশি। সে নাম্বার ওয়ান এবং সব খেলোয়াড়ের জন্য উদাহরণ। সে আমার বাচ্চাদের কাছে এবং তাদের বাচ্চাদের কাছেও একজন কিংবদন্তি হবে। তার সঙ্গে খেলতে পারাটা আনন্দের।”

আতলেতিকোতে পাঁচ বছরে ২৫৭ ম্যাচে ১৩৩ গোল করা গ্রিজমান এখন নতুন চ্যালেঞ্জের জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন। গত বছর বার্সেলোনাকে ফিরিয়ে দেওয়ার কারণ হিসেবে পরিবারের কথাও বললেন গ্রিজমান।

“আমার পরিবারকেও তো জায়গা বদলাতে হবে - স্কুলে অনেক বন্ধু রেখে আমার মেয়ের, মাদ্রিদে ভালো একটা জীবনযাত্রা ছেড়ে আমার স্ত্রীর। আমি এই পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সে সময় প্রস্তুত ছিলাম না। ভেবেছিলাম, আতলেতিকোর হয়ে এখনও কিছু অর্জন করার আছে। কিন্তু এ বছর পরিস্থিতি ভিন্ন ছিল।”

“কিন্তু সব সময়ই একটা আবাস ছেড়ে আসা কঠিন, যেখানে আপনি খুবই সাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, যেখানে আপনার পরিবার, বন্ধু এবং সতীর্থরা রয়েছে। এটা কঠিন ছিল। আতলেতিকোর জন্য আমার শুধু প্রশংসা আছে। আমি তাদের কাছে, দিয়েগো সিমিওনের কাছে কৃতজ্ঞ।”

“এখন আমার চ্যালেঞ্জ নিজের উন্নতির চেষ্টা করা, বার্সেলোনা দলে নিজের জায়গা করে নেওয়া, দারুণ এই ক্লাবের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হওয়া এবং লিগ, কাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের চেষ্টা করা। আমার অর্জনে এগুলো নেই।”